সাইফুল ইসলাম :

আগের সিঁড়ি ছিলো পানি চলাচলের নালার উপর। সম্প্রতি সেটি পৌরসভা উচ্ছেদ করে দিলে হোটেল শাহেরাজে সরাসরি উঠা বন্ধ হয়ে যায়। এরপর তারা কৌশলে নতুন একটি সিঁড়ি তৈরী করে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক সত্যি সেই সিঁড়িটিও নির্মিত হয়েছে সাধারণ মানুষ চলাচলের রাস্তা অর্থাৎ ফুটপাত দখল করে। কক্সবাজার শহরের ব্যস্ততম বাজারঘাটা এলাকায় অবস্থিত হোটেল শাহেরাজ। পুরো হোটেল ওঠা-নামার জন্য এই সিঁড়ি নির্মাণ করা হয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। এতে ফটপাত দিয়ে চলাচলে নানা দূভোর্গে পড়েছে পথচারীরা। এমনি কি ওই হোটেল এর সামনে ফুটপাতে সিঁড়ি হওয়ায় চলাচলে পথচারীদের যেকোন মুহুর্তে বড় ধরণের সড়ক দূর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। যেহেতু চলাচলে ফুটপাত না থাকায় সড়কের উপর দিয়ে হাঁটতে হবে পথচারীদের। বৃহস্পতিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, নির্মাণাধীণ হোটেল শাহেরাজে ওঠা-নামা করার জন্য পৌরসভার ব্যস্ততম প্রধাস সড়কের পাশে ফুটপাত দখল করে সিঁড়ি বানানো হয়েছে। রাস্তা ছাড়া ফুটপাত দিয়ে মানুষ চলাচলের একদম জায়গা নেই। পথচারীরা সড়কের উপর দিয়ে চলাচল ফেরা করায় দূর্ঘটনার আশঙ্কাও এড়িয়ে যাচ্ছেননা সচেতন মহল। নাম প্রকাশ না করার শর্তে আশপাশের ব্যবসায়ীরা জানান, এই শাহেরাজ হোটেল পূর্বে নালা দখল করে সিঁড়ি নিমার্ণ করেছিল। এখন দেখি চলাচলের ফুটপাত দখল করে বানানো হয়েছে হোটেল এর সিঁড়ি। প্রধান সড়কের পাশে চলাচলের ফুটপাত না থাকায় চরমভাবে ভুগছে মানুষ। এভাবে ফুটপাত দখল করে সিঁড়ি নির্মাণ করায় মার্কেটের শোভা যেমন নষ্ট হচ্ছে, তেমনি কিছু দোকানির ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালাতেও সমস্যা হচ্ছে। এবং দূর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। এ ধরনের সিঁড়ি নির্মাণের ফলে শহরের পরিবেশ যেমন নষ্ট হবে, তেমনি ভবিষ্যতে ওই সড়ক প্রশস্তকরণ বাধাগ্রস্থ হবে। হোটেল মালিক ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে অপরিকল্পিতভাবে এ ধরনের সিঁড়ি নির্মাণ করছে, যা সাধারণ মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। পথচারী ও ব্যবসায়ীরা দ্রুত এ সিঁড়ি ভাংগানোর প্রশাসন ও পৌরসভার কাছে হস্তক্ষেপ কামনা করেছে। হোটেল ম্যানেজার শহিদুল্লাহ বলেন, আমি কিছইু জানি না। তবে এখানে ফুটপাত দখল করে সিঁড়ি নিমার্ণ হয়নি। এ বিষয়ে হোটেল শাহেরাজ এর সত্বাধিকারী শামিম জানান, এখানে রাস্তা দখল করে সিঁড়ি বানানো হয়নি। ফুটপাত দখল করে নিমার্ণ করা হলেও প্রয়োজনে সড়ক প্রশস্তকরণের সময় ছেড়ে দেওয়া হবে বলে জানান তিনি। কক্সবাজার পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র মাহবুবুর রহমান চৌধুরী জানান, নালা দখল করায় ইতিপূর্বে ওই হোটেলের সিঁড়ি উচ্ছেদ করে দেয়া হয়। এবার ফুটপাত দখল করে সিঁড়ি নির্মানের খবরটি শুনেছি। কয়েকদিনের মধ্যে আবারো অভিযান চালিয়ে সেটি দখলমুক্ত করা হবে।