আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
সন্ত্রাসে মদদ দেয়ার অভিযোগে মার্কিন চাপেই একঘরে হয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতার। কিন্তু আরব বিশ্বে অন্যতম মার্কিন ঘাঁটির এই দেশটির সঙ্গেই এবার যুদ্ধবিমান সরবরাহের চুক্তি করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
মার্কিন চাপেই সৌদিসহ ৮টি দেশ কাতারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু কাতারি প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী খালিদ আল আতিয়ারের সঙ্গে এফ-১৫ যুদ্ধবিমান সরবরাহের জন্য ১২০০ কোটি ডলারের চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব জন ম্যাটিস।
সেই চুক্তি স্বাক্ষরের ছবি টুইটারে প্রকাশ করে ওয়াশিংটনে কাতারি দূত মেশাল হামাদ আল-ঠানি বলেছেন, ‘মার্কিন প্রতিষ্ঠানগুলি যে আমাদের সঙ্গেই রয়েছে এটা তারই প্রমাণ। তবে এ নিয়ে আমাদের সন্দেহ ছিল না। দু’দেশের সেনার সম্পর্ক দু’ভাইয়ের মতো। কাতারের প্রতি মার্কিন সমর্থনের শিকড় অনেক গভীর। রাজনৈতিক পরিবর্তনে তা হুট করে টলে যাবে না।’
কাতার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মোট ৩৬টি যুদ্ধবিমান সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। পাশাপাশি দু’টি মার্কিন যুদ্ধজাহাজও কাতারের বন্দরে গিয়েছে বলে জানিয়েছে মার্কিন নৌসেনা। কাতারের ঘাঁটিতে ১০ হাজার মার্কিন সেনা রয়েছে।
এদিকে কাতারে পৌঁছেছেন তুরস্কের দুই মন্ত্রী। এর পরে সৌদি আরবে যাবেন তারা। এছাড়া সম্প্রতি কাতারে সেনা পাঠিয়েছে তুরস্ক।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।