শফিক আজাদ,উখিয়া :

মিয়ানমারের জলসীমা থেকে সে দেশের নৌবাহিনী কর্তৃক আটক ১৮ বাংলাদেশি ও ১ জন রোহিঙ্গাকে ফেরত দিয়েছে মিয়ানমার। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে অনুষ্ঠিত বৈঠকের মাধ্যমে ১৯ জনকে বন্ধীকে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করা হয়। বাংলাদেশ মিয়ানমার সীমান্তের ঘুমধুম পয়েন্টের বিপরীতে মিয়ানমারের ঢেকিবনিয়ায় সকালে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পতাকা বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে ১১ সদস্যের নেতৃত্ব দেন কক্সবাজার ৩৪ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মঞ্জুরুল হাসান খাঁন। মিয়ানমারের ১৩ সদস্যের নেতৃত্ব দেন মিয়ানমারের ইমিগ্রেশন বিভাগের উপ-পরিচালক উ থাং চু। সকাল সাড়ে ১০টায় বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলটি মিয়ানমারের যান। বৈঠক শেষে ১৯ জনকে নিয়ে দুপুর দেড়টার দিকে তারা ফিরে আসেন। ফেরত আসা ব্যক্তির মধ্যে কক্সবাজার জেলাসহ দেশের ৯ জেলার ১৮ জন রয়েছে। একজন টেকনাফের নয়াপাড়া শরণার্থী ক্যাম্পের রোহিঙ্গা। এরা হলেন- কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার লেদা এলাকার নুরুল ইসলামের পুত্র ফজল করিম, হোয়াইক্যং এলাকার নাজির হোসেনের পুত্র আবু বক্কর, মুরার ডেইল এলাকার আমির আহমদের পুত্র মোহাম্মদ ইসমাইল, টেকনাফের নয়াপাড়ার শরণার্থী ক্যাম্পের সি ব্লকের মকবুল আহমদের পুত্র আবদুস শুক্কুর, উখিয়া উপজেলার বালুখালী এলাকার মোহাম্মদ নুরুল ইসলামের পুত্র সৈয়দ হোসেন, রামু উপজেলার রাবেতা এলাকার মোহাম্মদ সিদ্দিকের পুত্র নুরুল হুদা, সিরাজগঞ্জ জেলার বেলকুচি উপজেলার তামাই এলাকার দিরাজ শেখের পুত্র হারুন শেখ, একই জেলার শাহাজাদপুর উপজেলার বাঘাবাড়ি এলাকার শামসুলের পুত্র কামরুল, জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর উপজেলার মেলা ঘবিনাথপুর এলাকার মৃত মোস্তাক আলীর পুত্র আনিসুর রহমান, একই জেলার মৃত আফতাব মুলের পুত্র লাল মোহাম্মদ, বগুড়া জেলার ক্ষেতলাল উপজেলার মাহমুদপুর এলাকার মোহাম্মদ দেলোয়ারের পুত্র জাহেদুল ইসলাম, একই জেলার জিন্নাতবাজার এলাকার ওসিম উদ্দিনের পুত্র তাজুল উদ্দিন, একই এলাকার সৈয়দুল ইসলামের পুত্র মোহাম্মদ ইউসুফ, হাজী এমদাদ আলীর পুত্র হোসেন আলী, ঢাকা জেলার রোস্তম আলীর পুত্র সোহেল খান, নরসিংদী জেলার সুলতান মিয়ার পুত্র শাহেদুল ইসলাম, পাবনা জেলার আলী হোসেনের পুত্র হৃদয় হোসেন, হবিগঞ্জ জেলার মোহাম্মদ ইব্রাহিমের পুত্র ইসহাক মিয়া, সুনামগঞ্জ জেলার গৌরনগর এলাকার সুরন্দ্র ছত্রধরের পুত্র প্রদীপ ছত্রধর।

কক্সবাজারস্থ ৩৪ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মঞ্জুরুল হাসান খাঁন জানান, এসব ব্যক্তির মধ্যে ৭ জন জেলে এবং ১২ জন সাগরপথে মালয়েশিয়ায় যাত্রাকালে মিয়ানমারের নৌবাহিনীর হাতে আটক হয়েছিল।