যুক্তরাজ্যের লন্ডনের গ্রেনফেল টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অনেকের জীবন বাঁচাতে সাহায্য করেছে ওই ভবনের মুসলিমরা। পবিত্র রমজান মাসে ভোররাতে সাহরি খাওয়ার জন্য উঠে তাঁরাই প্রথমে লক্ষ করেন যে গ্রেনফেল টাওয়ারে আগুন লেগেছে।
ভবনের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ভবনটিতে আগুন ছড়িয়ে পড়লেও আগুন লাগলে যে সতর্কবার্তা বা সংকেত বাজে, তা তাঁরা শুনতে পাননি। তবে আশপাশের প্রতিবেশীরাই প্রথমে আগুন লাগার ঘটনাটা বুঝতে পারেন। আর যাঁরা প্রথমে বুঝতে পারেন, তাঁরা বেশির ভাগই মুসলমান। রোজা রাখার জন্যই তাঁরা শেষ রাতে সাহরি খেতে উঠেছিলেন এবং তখনই তাঁদের কেউ কেউ ওই ভবনটিতে ধোঁয়া দেখতে পান।
৩৩ বছর বয়সী আন্দ্রে বারোসো বলেন, ‘ওই ভবন থেকে অনেক মানুষকে বাইরে বেরিয়ে আনার জন্য বড় ভূমিকা পালন করেছেন মুসলমানেরা। আমি ওই সময় যাঁদের দেখতে পেয়েছি, তাঁরা অধিকাংশই মুসলমান। তাঁরা অন্যদের খাবার ও বস্ত্র সরবরাহ করেছেন।’
গ্রেনফেল টাওয়ারের কাছে অপর এক নারী গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এখানে যদি মুসলিম ছেলেমেয়েরা এসে আমাদের সাহায্য না করতেন, তাহলে হয়তো আরও অনেক লোক মারা যেত। তারাই প্রথম মানুষ, যারা পানি সরবরাহ করেছে, মানুষকে সাহায্য করেছে এবং দৌড়ে গিয়ে মানুষকে বলেছে।’
গ্রেনফেল টাওয়ারের ১৮ তলায় থাকতেন খালিদ সুলেমান আহমেদ। তিনি বলেন, ‘আগুন লাগার কোনো সতর্কবার্তা বাজেনি। আমি প্লেস্টেশন খেলছিলাম আর খাবারের অপেক্ষা করছিলাম, তখনই ধোঁয়ার গন্ধ পাই। আমি উঠে ঘরের জানালা বন্ধ করে দিই, তখনই দেখি সপ্তম তলায় ধোঁয়া। আমি তখনই আমার আন্টিকে জাগিয়ে তুলি। এরপরে কাপড় পরে বাইরে গিয়ে প্রতিবেশীদের দরজায় ডাকাডাকি শুরু করি।’
ওই ভবনের অপর এক বাসিন্দা রাশিদা স্কাই নিউজ বলেন, ‘বেশির ভাগ মুসলমান এখন পবিত্র রমজান মাসে রোজা রাখছেন। তাঁরা সাহরি খাওয়ার জন্য সাধারণত রাত দুইটা থেকে আড়াইটার দিকে ঘুম থেকে ওঠেন। খাওয়া শেষে তাঁরা ভোরে ফজরের নামাজ পড়েন। সুতরাং এখানে প্রায় বেশির ভাগ পরিবারই জেগে উঠে অন্যদের সাহায্য করেছে।’ তথ্যসূত্র: ইন্ডিপেনডেন্ট ও এনডিটিভি।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।