শাহিদ মোস্তফা শাহিদ, ঈদগাঁও
কক্সবাজার সদরের ইসলামাবাদে জলদাশ সম্প্রদায়ের ২ সহোদরকে মাছ ধরার অযুহাতে সাগরে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সংঘটিত ঘটনায় এক ভাইয়ের লাশ উদ্ধার হলেও অপরজনের খোঁজ খবর এখনো পাচ্ছে না পরিবারের লোকজন। ঘটনায় পুরো এলাকায় জুড়ে চলছে শোকের মাতম। নিখোঁজের সন্ধানে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন পরিবারের সদস্যরা। নিহত সুদর্শন জলদাশ ও নিখোঁজ লুকেল জলদাশ ইসলামাবাদ পূর্ব বোয়ালখালী জলদাশ পাড়ার কৃষ্ণপদ দে’র পুত্র। অভিযোগে জানা যায়, গত সোমবার ভোরে একই এলাকার গুলবাসী জলদাশের পুত্র লালসেন জলদাশের মালিকানাধীন ট্রলার যোগে মাছ ধরার জন্য জোর পূর্বক সাগরে নিয়ে যায়। ঐদিন ইসলামপুর ঘাট থেকে ১৪ জন মাঝিমাল্লা নিয়ে ট্রলারটি সাগরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়। সকাল ১০টার দিকে কুতুবদিয়া এলাকায় ট্রলারটি বিকল হয়ে পড়লে মালিক লালসেন জোর পূর্বক ২ সহোদর সুদর্শন ও লুকেল জলদাশকে যন্ত্রাংশ মেরামতের চাপ সৃষ্টি করে ট্রলারের ভিতরে ঢুকিয়ে দেয়। এসময় ট্রলারটি পানিতে ডুবে গেলে উপরের মাঝিমাল্লারা সাতার কেটে কোন রকম কূলে ফিরে আসলেও ২ সহোদর বোটের নিচে মারা যায়। কুতুবদিয়া উপজেলা প্রশাসন সুদর্শনের লাশ উদ্ধার করে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে। বুধবার রাতে তাকে দাহ করা হয়। সুদর্শনের আত্মীয়-স্বজনদের অভিযোগ, লালসেন বহদ্দার জোর পূর্বক তাদেরকে মাছ ধরার অযুহাতে নিয়ে গভীর সাগরে তাদের হত্যা করেছে। স্থানীয় সূত্রে তাদের কাছে খবর এসেছে লুকেল জলদাশের লাশও গোপনে মাটি চাপা দিয়ে রেখেছে। ঘটনার দিন থেকে লালসেন জলদাশ তাদের পরিবারকে মামলা মোকদ্দমা করলে জানে মেরে ফেলাসহ বিভিন্ন ধরণের হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছে। সে প্রভাবশালী হওয়ায় অসহায় জলদাশ সম্প্রদায়ের লোকজন মুখ খোলার সাহস পাচ্ছে না। এদিকে তাদের মৃত্যু ও নিখোঁজের সংবাদে জলদাশ সম্প্রদায়ের মাঝে শোকের মাতম বিরাজ করছে। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত লালসেনের সাথে বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন বলে জানান তার অন্য ভাই। এ প্রসঙ্গে ঈদগাঁও পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মোঃ খায়রুজ্জামানের সাথে যোগাযোগ করা হলে এ সংক্রান্ত কোন খবর এখনো পর্যন্ত পাননি বলে জানান এবং কেউ অভিযোগও করেনি। এদিকে পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিদের লাশ ও নিখোঁজের খবরে আত্মীয় স্বজনদের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। নিখোঁজ লুকেল জলদাশের লাশটি অন্তত পরিবারের কাছে হস্তান্তর করার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
ইসলামাবাদের ২ সহোদরকে সাগরে নিয়ে হত্যার অভিযোগ
পড়া যাবে: [rt_reading_time] মিনিটে