অাজিজুল হক, ঘুমধুম:
নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নের বড়খোলা নামক (পাহাড় পাড়া) এলাকায় গরু ক্ষেত খাওয়ার অপরাধে, গরুর মালিক, নাতনী ও পুত্রবধুকে পিটিয়ে আহত করেছে। গত ১৩ জুন ইফতারের ১০ মিনিট পুর্বে এ ঘটনা ঘটান বালুখালী থেকে বহিরাগত বসবাসকারী জনৈক সাঈদী আলমের পরিবারের লোকজন। এ ঘটনায় ঘুমধুম পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে ৫জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগ দায়ের করেছে আহতের পরিবার।

দায়েরকৃত অভিযোগ, ঘটনার প্রত্যেক্ষদর্শী ও আক্রান্ত পরিবার সুত্রে জানা যায়, পাহাড় পাড়ার ফরিদ আলমের গৃহপালিত একটি গরু প্রতিবেশী, উখিয়ার বালুখালী থেকে এসে বসতি গড়ে তোলা সাঈদী আলমের বাড়ির আংগিনায় রোপিত ক্ষেতে ঢুকে পড়লে সাঈদী আলমের স্ত্রী মঞ্জুরা বেগম অকথ্য ভাষায় গরুর মালিকের জাত গোষ্ঠি তুলে গালিগালাজ করতে থাকে।

এসময় গরুর মালিক, ফরিদ আলমের স্ত্রী মিনোয়ারা বেগম গালিগালাজ না করতে বারণ করলে আরো বেশী করতে থাকে। এক পর্যায়ে দু, পক্ষেের কথা কাটাকাটি বন্ধ হয় ইফতারের সময় হওয়াতে। ফরিদ আলমের পরিবারের লোকজন ইফতারের খাদ্য প্রস্তুতি নিয়ে ব্যস্ত, এমনিই মুহুর্তে সাঈদী আলম (৫০), স্ত্রী মঞ্জুরা বেগম (৪০), ছেলে সাইফুল ইসলাম (২৫), মনিরুল ইসলাম (২২) ও কন্যা কোহিনুর আকতার দেশীয় অস্ত্রসশ্ত্রে সজ্জিত হয়ে ফরিদ আলমের বাড়িঘরে হামলা চালাতে থাকে, ওই সময় বাধা দিলে ফরিদ আলমের স্ত্রী মিনোয়ারা বেগম (৪০), পুত্রবধু জান্নাত আরা (২২)ও ৪মাসের দুগ্ধপোষ্য শিশুও সাঈদী আলমদের হামলা থেকে রক্ষা পায়নি। তাদের ৩জনই গুরুতর জখম প্রাপ্ত হলে, স্থানীয়রা উদ্ধার করে উখিয়া হাসপাতালে ভর্তি করান। তারা বর্তমানেও চিকিৎসাধীন রয়েছে।

তৎমধ্যে আহত মিনোয়ারার অবস্থা আশংকাজনক বলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ৫জনের নামে ঘুমধুম পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র ইনচার্জ বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
ঘুমধুম পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মোঃ এরশাদ উল্লাহ জানান, দু, পক্ষই অভিযোগ দায়ের করেছে। তদন্ত পুর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ঘটনাস্থলে পুলিশ ফোর্স পাঠানো হয়েছিল।