মুহাম্মদ জুবাইর, টেকনাফ::
ঘূর্ণিঝড় মোরায় ক্ষতিগ্রস্থ টেকনাফের লন্ডভন্ড বিদ্যুৎ সংযোগ গত ১৫ দিনে ও চালু করা হইনি। ব্যাপক হারে গাছপালা ভেঙ্গে ও উপড়ে পড়ে বিদ্যুতের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়। পুরো টেকনাফে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ ছিল। তবে সীমিত আকারে পৌর এলাকা ও আশপাশের কয়েকটি গ্রামে বিদ্যুৎ সংযোগ চালু করা হলে ও কিন্তু এখনো উপজেলার অধিকাংশ এলাকা বিদ্যুৎবিহীন অন্ধকারে রয়েছে। ঘূর্ণিঝড় মোরায় টেকনাফের লন্ডভন্ড বিদ্যুৎ সংযোগ বাণিজ্যে দিশেহারা গ্রাহক।মোটা অংকের টাকা দিলে মিলছে বিদ্যূৎ সংযোগ, অন্যতায় আশ্বাসের বাণী।
ফলে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে গ্রাহকদের কাছ থেকে পল্লী বিদ্যুৎ কর্মকর্তা কর্মচারীরা। কতিপয় দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারী এলাকায় তড়িৎ বিদ্যূৎ সংযোগ দেওয়ার নামে ঘুষ বানিজ্যে চালিয়ে যাচ্ছে। ফলে পল্লী বিদ্যুৎ নামটি এখন সাধারণ মানুষের কাছে বিষ ফোঁড়া হয়ে দাড়িয়েছে। কয়েক দিন পূর্বে টেকনাফ পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় সংযোগ চালু হলেও টেকনাফ সদর , সাবরাং , বাহারছড়া, হ্নীলা, হোয়াইক্যং ইউনিয়নের অধিকাংশ এলাকায় ১৫ দিন অতিবাহিত হওয়ার পর এখনো পর্যন্ত বিদ্যূতের আলো মিলেনি গ্রাহকদের কাছে। কিছু কিছু এলাকায় বিদ্যূৎ সংযোগ দিলেও মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে সংযোগ দিচ্ছে বলে ভোক্তভুগীর পক্ষ থেকে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
যে সব এলাকায় এখনো পর্যন্ত পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তা কর্মচারীদের গ্রাহকরা টাকা দিতে না পারেনি সেই সব এলাকায় পল্লী বিদ্যুতের কর্মচারীদের দেখা মিলেনি। পাশাপাশি ঘূর্ণিঝড় মোরার ১৫দিন অতিবাহিত হওয়ার পরও বিদ্যুতের আলো দেখেনি সে সব, টেকনাফ সদর ইউনিয়নের নাজির পাড়া, মৌলভী পাড়া, বড় হাবিব পাড়া, ডেইল পাড়া আংশিক, মহেষখালীয়া পাড়া, গোদারবিল, খোনকার পাড়া, লম্বরী,তুলাতলী, সাবরাংয়ের শাহপরীর দ্বীপ, নয়াপাড়া, ঘোলা পাড়া, ঝিনা পাড়া , মন্ডল পাড়া, মুন্ডার ডেইল, বাহার ছড়া সহ অসংখ্য গ্রামে এখনো বিদ্যূৎ সংযোগ দেওয়া হইনি।
আর কয়েকটি এলাকায় মোটা টাকার বিনিময়ে সংযোগ দিয়েছে । এই ভাবে পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তাদের ঘুষ বানিজ্য চলছে প্রকাশ্যে দিবালোকে। টাকা দিলে সংযোগ সংস্কার মিলে অন্যতায় আশ্বাসের বাণী ও কালক্ষেপন করে পার করে দিচ্ছে দিনের পর দিন এমনই অভিযোগ বেস কিছু বিদ্যুৎ গ্রাহকের। কিন্তু টাকা দেওয়ার আশ্বাস দিলে গ্রাহকের ভাগ্যে মিলে তাৎক্ষনিক বিদ্যূৎ সংযোগ। ঘুর্ণিঝড় তান্ডবে অধিক সংখ্যক সংযোগ বিচ্ছন্ন হওয়ায় হয়তো এ সুবিধা নিচ্ছে বলে জানান টেকনাফ সদর ,সাবরাং ও বাহার ছড়া ইউনিয়নের স্থানীয় জনসাধারণ। বিভিন্ন এলাকায় বিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পুণঃ সংযোগ দিতে পল্লী বিদ্যুৎ সংশ্লিষ্ঠরা প্রতি ঘর পিছু খরচের নামে ১৫০-২০০টাকা হারে আদায় করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।৩০মে ঘূর্ণিঝড়ের পর থেকে এখানে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। টেকনাফ উপজেলার অনেকাংশ গ্রাম।
১২ জুন মঙ্গলবার টেকনাফ সদরের তুলাতলী গ্রামে পল্লী বিদ্যুতের সংশ্লিষ্ঠ কয়েকজন লোক উক্ত এলাকায় বিদ্যুতের পুণঃ সংযোগ দিতে যায়। এসময় ঘর প্রতি ১৫০/২০০ টাকা কোন কোন বাড়ী হতে ১ হাজার টাকা পর্যন্ত আদায় করেছে বলে জানায় স্থানীয়রা। যারা টাকা দিতে ব্যার্থ হয়েছে তাদের সংযোগ চালু করা হয়নি।
টেকনাফ সদরের তুলাতলী এলাকার কবির আহমদ জানান সোমবার বিকালে আমার আশপাশের সংযোগ মেরামত করা হয় । এসময় আমিও অন্যান্যদের মত ১৫০টাকা আদায় করি। খুটি হতে মূল তার বিচ্ছিন্নের অভিযগো করে আমার কাছে ১ হাজার ৫শ টাকা দাবী করে।আমি দিতে অপারগতা প্রকাশ করিলে লাইনটি সংযোগ না দিয়ে চলে যায়। ওই গ্রামে টাকা দিতে না পারায় অনেকে বিদ্যুৎ সংযোগ পায়নি বলে সংবাদ কর্মীদের কাছে অভিযোগ করেন।
যারা টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন তাদের পুণঃসংযোগ দেয়নি বিদ্যুৎ কর্মীরা। পুরো উপজেলায় বিদ্যুতের পুণঃ সংযোগ দিতে গিয়ে পল্লী বিদ্যুতের লোকজন স্থানীয় কয়েক হাজার ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের কাজ থেকে বিপুল পরিমাণের টাকা আদায় করে নিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে।