সোয়েব সাঈদ, রামু:
রামুতে গড়ে তোলা একমাত্র টার্কি মুরগীর খামার হতে চুরি করা ৭ লাখ টাকার মুরগী উদ্ধার করেছে র্যাব। খামারের দুই কর্মচারীর সহায়তায় এ চুরির ঘটনা সংগঠিত করে বাংলাবাজার এলাকায় বসবাসকারি তাদের এক নিকটাত্মীয়।
গত ৩১মে দিবাগত রাতে রামুর চাকমারকুল ইউনিয়নের মাদরাসা গেইট সংলগ্ন এলাকায় জাকির হোসেনের মালিকানাধিন খামারে এ ঘটনা ঘটে।
খামার মালিক জাকির হোসেন জানান, চুরির পর তিনি খামারটি নিয়ে টেনশনে পড়েন। ওইসময় মুরগী চুরির সাথে জড়িত চক্র মুরগী ফিরিয়ে দেয়ার আশ্বাসে তার কাছ থেকে ৬০ হাজার টাকা দাবি করেন। তিনি বিষয়টি কক্সবাজার র্যাব-৭ কে অবহিত করেন। এরই প্রেক্ষিতে তিনি (খামার মালিক) র্যাবের নির্দেশনা মতে কৌশলে ওই চক্রের মোবাইলে ১০ হাজার টাকা প্রেরন করেন। টাকা উত্তোলনের সূত্র ধরে র্যাব এ চক্রের সদস্যদের আটক করেন।
খামার মালিক জাকির হোসেন আরো জানান, সাড়ে চারমাস পূর্বে তিনি ওই এলাকায় ব্যয় বহুল টার্কি মুরগীর খামার গড়ে তুলেন। খামারে শুরু থেকে টেকনাফের হ্নীলা এলাকার মোস্তফা ও নুরুল ইসলাম নামের দুই কর্মচারি কাজ করে আসছিলো।
ঘটনারদিন ওই দুই কর্মচারি তার অনুপস্থিতির সুযোগে খামারের ১৩০টি টার্কি মুরগী, ৩টি ফ্যান (বৈদ্যুতিক পাখা) সহ বেশ কিছু মালামাল নিয়ে যায়। চুরি হওয়া প্রতিটি টার্কি মুরগীর দাম প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার টাকা। অর্থাৎ লুটকৃত ১৩০টি মুরগীর মূল্য ৭ লাখ টাকার অধিক। কৌশলী অভিযানের মাধ্যমে চুরি হওয়ায় মূল্যবান টার্কি মুরগীগুলো উদ্ধার করায় খামার মালিক জাকির হোসেন র্যাব-৭ এর অধিনায়ক সহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।