হাফেজ মুহাম্মদ কাশেম, টেকনাফ:
২৯ ও ৩০ মে ঘুর্ণিঝড় ‘মোরা’ আঘাত হানার পর মাত্র কয়েক দিনের ব্যবধানে আবারও প্রচন্ড ঝড়ো হাওয়ায় টেকনাফ উপজেলার সর্বত্র ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে। ‘মোরা’র আঘাতে টেকনাফ উপজেলায় প্রাণহানীর ঘটনা না ঘটলেও গত কয়েক দিন ধরে দীর্ঘ সময় ব্যাপী প্রচন্ড ঝড়ো হাওয়ায় ফসল, গাছপালা ও বসতবাড়ি নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। প্রচন্ড ঝড়ো হাওয়ায় ঢেউয়ের তোড়ে সেন্টমার্টিনদ্বীপের জেটির বেশ কিছু অংশ ভেঙ্গে গেছে।
টেকনাফের উপকুলীয় ইউনিয়ন বাহারছড়া ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মাওঃ আজিজ উদ্দিন জানান সতর্ক সংকেত যথাযথভাবে এবং যথাসময়ে প্রচার করা হয়নি। যার কারণে উপকুলীয় জেলেরা সাগরে মাছ শিকারে গিয়ে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। জেলে এবং ফিশিং ট্রলার নিখোঁজ রয়েছে।
সেন্টমার্টিনদ্বীপের ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নুর আহমদ ১৩ জুন বিকালে জানান ঘুর্নিঝড় মোরার রেশ না কাটতেই ফের দুর্যোগের কবলে পড়েছে সেন্টমার্টিনবাসী। বৈরী আবহাওয়া এবং ৩নং সংকেতের কারনে জলোচ্ছ্বাসে দ্বীপের নিচু স্থান ও ইনানী খালসহ খোলা মুখ দিয়ে সাগরের পানি ঢুকে প্লাবিত হয়েছে। সেন্টমার্টিনবাসী ও দেশী-বিদেশী হাজার হাজার পর্যটকদের একমাত্র উঠা নামার জেটির একাংশ জাহাজের ধাক্কায় ভেঙ্গে গেছে এবং দ্বীপের উত্তরাংশ ডেইলপাড়ায় ১৬টি বসতঘর সাগরে বিলীন হয়ে গেছে। তাছাড়া অনেক গাছপালাও ভেঙ্গে গেছে।
সেন্টমার্টিন জেটিতে ভাঙন
পড়া যাবে: [rt_reading_time] মিনিটে
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।