ফরিদুল আলম দেওয়ান, মহেশখালী:
ঝড়ে মহেশখালীর উপদ্বীপ সোনাদিয়ার চরে দূঘটনা কবলিত হয়ে একটি বিশাল স্ক্যাপ জাহাজ মধ্যম চরের সংলগ্ন দক্ষিণ পাশে সাগরের ডুবোচরে আটকা পড়েছে। ১২ জুন ভোরের দিকে স্থানীয় লোকজন জাহাজটি দেখতে পেলেও জাহাজে কোন লোকজনকে দেখতে পায়নি বলে জানান। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় কুতুবজোম ইউপি চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন খোকন। বিকেলে আটকে পড়া ওই জাহাজে সোনাদিয়ার দুটি দস্যু বাহিনী মালামাল লুটপাট করতে গিয়ে দুপক্ষের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। পরে কোস্টগার্ড ঘটনাস্থলে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। জানা গেছে বিদেশ থেকে নিলামে কেনা ওই জাহাজটি চট্টগ্রামের একটি কোম্পানী অন্য একটি জাহাজের মাধ্যমে টেনে নিয়ে আসার পথে গতকাল ভোর রাতের দিকে ঝড়ের কবলে পড়ে সোনাদিয়ার ডুবোচরে আটকা পড়ে। পরে সেটি ভাসতে ভাসতে তীরের কাছে এসে আটকে যায়। জাহাজটিতে কোন লোকজন না থাকায় স্থানীয় লোকজন সাতরিয়ে জাহাজে উঠে মালামাল লুটপাট করে।
বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার কে অবহিত করা হলে তিনি জানান, ইতিমধ্যে বিষয়টি শুনার পর মহেশখালী থানার ওসি নির্দেশ দেয়া হয়েছে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য।
এদিকে মহেশখালীর ধলঘাটা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কামরুল হাসান জানান, ধলঘাটা ইউনিয়নের উপকূলের মানুষ গুলোর দূর্ভোগের শেষ নেই। জোয়ারের পানিতে ঘর-বাড়ির ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে। জোয়ারের পানিতে ধলঘাটার ৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ওইসব এলাকা থেকে নৌকা ও ট্রলার দিয়ে মানুষদেরকে সরিয়ে আনা হচ্ছে। আপর দিকে মাতারবাড়ীর ৬টি গ্রামে বেড়িবাঁধের ভাঙ্গন দিয়ে পানি ঢুকে জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে গাছপালা উপড়ে পড়ে বেশ কিছু ঘরবাড়ী বিধ্বস্থ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। গত ৩ দিন ধরে বন্ধ রয়েছে বিদ্যুৎ সরবরাহ।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।