তাজুল ইসলাম পলাশ,সিবিএন, চট্টগ্রাম ব্যুরো :

টানা ১৬ ঘন্টার বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে বন্দরনগরী চট্টগ্রামের নিম্নাঞ্চল এলাকা। অথৈই পানিতে থৈ থৈ করছে নগরী। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন নগরবাসী। সেই সাথে টানা ১৬ ঘন্টার লোডশেডিংয়ে সিমাহীন দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন নগরবাসী। রোববার রাত থকে অব্যাহত বৃষ্টিতে নগরীর নিম্নাঞ্চল বিশেষ করে আগ্রাবাদ, সিডিএ আবাসিক, শান্তিবাগ, হালিশহর, ছোটপুল, চকবাজার, বহদ্দারহাট, মুরাদপুর, বাকলিয়া, কাতালগঞ্জ, দুই নম্বর গেটসহ কোথাও কোথাও হাঁটুপানি আবার কোথাও কোমর সমান পানি জমে গেছে।

জলাবদ্ধতার কারণে সড়ক জুড়ে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র যানজট। খানাখন্দে ভরা বেশিরভাগ রাস্তা ডুবে থাকায় পথে পথে বিকল হচ্ছে গাড়ি। বেশ কয়েকটি স্থানে রিকশা উল্টে যাত্রীরা আহত হয়েছেন বলেও জানা গেছে। এদিকে ভারি বর্ষণে চট্টগ্রাম সমদ্রবন্দরে পণ্য খালাসে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।

বিশেষ করে ঈদ বাজারকে ঘিরে কেনাকাটায় ব্যস্ত মানুষ ও ব্যবসায়ীদের দুর্ভোগ ও হতাশা বাড়ছে বৃষ্টির প্রতিটি ফোঁটা ও লোডশেডিংয়ের তীব্রতায়। বৃষ্টির কারনে কেনাকাটা করতে শপিং মলে যেতে পারছেনা ক্রেতারা। সেই লোডশেডিং এর কারণে বেচাকেনাও করতে পারছে না বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

চকবাজার বাদুরতলা এলাকার বাসিন্দা কাপাসগোলা সিটি কর্পোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা নাহিদ ফারজানা চুমকি জানান, রোববার রাত থেকে বিদ্যুৎ চলে গেলে এখনো দেখা মেলেনি। এদিকে ফ্রিজে রাখা জিনিস পত্র নষ্ট যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাছাড়া সড়ক ডুবে যাওয়ার কারণে বাসা থেকে বের হচ্ছে পারছিনা।

এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে বিদ্যুত উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) এর আঞ্চলিক সহকারী ব্যবস্থাপক হুমায়ুন আজাদ জানান, টানা ১৬ ঘন্টা বিদ্যুত না থাকার কারন লোডশেডিং নয়। চান্দগাঁও, মোহাম্মদপুর, মুরাদপুর, বাকলিয়াসহ নগরীর বেশ কয়েকটি এলাকায় বিদ্যুত সরবরাহ লাইনে ত্রুটি, ট্রান্সফরমার বিকল, বা ফিউজ পুড়ে যাওয়ার কারনে বিদ্যুৎ সরবরাহ পায়নি। তবে বিকেলের দিকে এসব ত্রুটি নিরসনে কাজ চলছে বলে জানান তিনি।

এদিকে আবহাওয়া অফিসের ডিউটি অ্যাসিস্ট্যান্ট মাহমুদুল আলম জানান, মৌসুমি নি¤œচাপের কারণে দেশের সমদ্রবন্দরগুলোকে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। দুপুর নাগাদ চট্টগ্রামে একটানা ভারি বৃষ্টিপাত হতে পারে। এরপর থেমে থেমে ভারি বৃষ্টি হবে।

আজ সোমবার (১২ জুন) বিকেল ৩ টা পর্যন্ত পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস ১৮১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করার কথা জানিয়েছে। এর আগে সকাল ছয়টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড হয় ৮২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত।