ইমাম খাইর, সিবিএন
দুই নাম্বার ইট-বালি দিয়ে চলছে কক্সবাজার সদরের খুরুশকুল মনুপাড়া সড়কের উন্নয়ন কাজ। সড়ক মজবুতির জন্য প্রেসার দেয়ার কথা থাকলেও তা মানা হচ্ছেনা। বালির বদলে সড়কে ব্যবহার করা হচ্ছে পাহাড়ের মাটি। এতেকরে প্রায় দেড় কোটি টাকার কাজের মান নিয়ে স্থানীয়দের প্রশ্ন রয়েছে।

এদিকে স্থানীয় সরকারের বরাদ্দে গুরুত্বপূর্ণ মনুপাড়া সড়কের কাজে অনিয়মের অভিযোগ কাজ বন্ধ করে দিয়েছে স্থানীয় পরিষদ। শনিবার বিকালে পরিষদের একটি টীম কাজ পরিদর্শন শেষে শিডিউল অমান্য করায় ঠিকাদারকে কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে মান সম্মত ইট-বালি ব্যবহারসহ শিডিউল অনুসরণে তাগিদ দেন।

প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুত আশ্রায়ন প্রকল্পে যেতে জরুরী ভিক্তিতে মনুপাড়া সড়কের আড়াই কিলোমিটার উন্নয়নে ১ কোটি ৩৩ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। ভুইয়া ট্রেডার্স নামে একটি কনস্ট্রাকশন প্রতিষ্ঠান কাজটি পায়। আগামী জুলাইয়ের মাঝামাঝি সময়ে কাজ শেষ হওয়ার কথা।

ইতোমধ্যে দুই তৃতীয়াংশ কাজ শেষ হয়েছে। নির্ধারিত সময়েরর আগেই কাজ সমাপ্ত হওয়ার আশা করছেন সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার।

তবে অভিযোগ হলো- দুই তৃতীয়াংশ কাজেই দুই নাম্বার ইট-বালি ব্যবহার করা হয়েছে। কাজ শেষ না হতেই উপড়ে যাচ্ছে ইট, ভেঙে যাচ্ছে সড়কের দুই পাশ। মূলতঃ প্রেসার ও সাইট বক্স না দেয়ায় কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে স্থানীয়রা।

এলাকাবাসী জানিয়েছে, ঠিকাদার অধিক লাভের আশায় নিম্নমানের ইট ও পাহাড়ের বালি ব্যবহার করছেন। যেনতেনভাবে কাজ শেষ করতে চাচ্ছেন। মানহীন কাজ সরকারের গ্রামীন অবকাঠামো উন্নয়নের তৎপরতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে বলে সচেতনমহল মনে করেন।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন জসিম জানান, এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিক্তিতে কাজ পরিদর্শন করতে গেলে দেখা যায়- সড়কে যে ইট-বালি দেয়া হচ্ছে তা খুবই নিম্নমানের। ঠিকাদার বেশী মুনাফার লোভে দুর্বল সামগ্রী ব্যবহার করছেন। শিডিউল না মেনে কাজ করায় তা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ঠিকাদার তাজুল ইসলাম ভুইয়া বলেন, শিডিউল মেনে কাজ করা হচ্ছে। ইট সরবরাহকারীরা কয়েকটি দূর্বল ইট সরবরাহ করলে তা সাথে সাথে উঠিয়ে নেয়া হয়।