গত ৯ জুন কক্সবাজারের কয়েকটি পত্রিকায় ও বিভিন্ন অনলাইন নিউজে “টেকনাফ থানার এস,আই মুফিজের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ, মামলা না দেওয়ায় ষাটোর্ধ বৃদ্ধকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানো হয়েছে” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদটি আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। সংবাদের একাংশে শফিকুল ইসলাম নামে এক যুবককে জড়িয়ে যে মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন অভিযোগ সংবাদ সম্মেলনে নুর আহমদের মেয়ে আজিজা আক্তার তুলেছে আমি তার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাই। প্রকৃতপক্ষে, আমার পুত্র শফিকুল ইসলাম একজন দুবাই প্রবাসী এবং বর্তমানেও দুবাই অবস্থান করছে। পুলিশের সাথে আমার পুত্র শফিকুল অর্থের বিনিময়ে ইয়াবা দিয়ে সাজানো মামলার প্রশ্নই উঠেনা। মুলত নুুর আহমদের পরিবারটি ইয়াবা পাচারকারী ও ব্যবসায়ী। তাদের মামলার দিকে একটু দৃষ্টি দিলেই পানির মত স্বচ্ছ হবে। আটক অভিযুক্ত নুর আহমদ শুধু এস আই মুফিজের হাতে ২ হাজার পিস ইয়াবাসহ প্রথমবার আটক হয়েছে এমনও নয়। এর আগেও দুই বার ইয়াবাসহ বিজিবি কর্তৃক আটক হয়ে কারাবরণ করেছেন। তার কয়েক ছেলে শফিক, মুফিজ, হাফেজ উল্লাহ, ফরিদ আলম কালা, মেয়ে খালেদা ও সনজিদার বিরুদ্ধে একাধিক ইয়াবার মামলা রয়েছে। অনেকবার ইয়াবাসহ হাতে নাতে বিভিন্ন আইনশৃংখলা বাহিনীর হাতে আটক হয়ে কারাবরণ করেছেন। পরে বিজ্ঞ আদালত থেকে আইনের ফাঁক ফোকর দিয়ে বের হয়ে ফের ওই মাদক ইয়াবা ব্যবসা ও পাচারকাজে লিপ্ত হয়ে পড়ে। বর্তমানে ইয়াবাসহ আটক নুর আহমদের মেয়েরা ঢাকা ফ্লাট বাড়ী নিয়ে বসবাস করে ইয়াবা ব্যবসা পরিচালিত করছে। যা এলাকার সকলে অবগত থাকলেও কেউ ভয়ে মুখ খোলেনা। মুলত নুর আহমদের পরিবারটি ইয়াবা স¤পৃক্ত, ব্যবসায়ী ও পাচারকারী। এক সময়ের দিন মজুর করে যারা সংসার চালাত তারা হঠাৎকরে অল্প দিনের মধ্যে কিভাবে সহায় স¤পত্তি ও কোটিপতি হয়ে গেল তা সকলেই অবগত। যাহা আইন শৃংখলা বাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থা নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করলে থলের বিড়াল বেরিয়ে আসবে। তাছাড়া তারা এলাকায় টাকার অহংকার দেখিয়ে বিভিন্ন জনকে হুমকি, হামলা ও মামলা দিয়ে সাধারন মানুষকে হয়রানী করে আসছে। গত ৬ জুন টেকনাফ পৌরসভার ডেইল পাড়া এলাকার এই চিহ্নীত ইয়াবা ব্যবসায়ী নুর আহমদের পুত্র মো. হাফেজ, মো. শফিক, মো. মুফিজ, হাফেজ উল্লাহর নেতৃত্বে একই এলাকার রশিদ আহমদকে হামলা চালিয়ে প্রায় দেড় লক্ষ টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। যা স্থানীয় পত্রিকায় সংবাদ প্রচার হয়েছে। আমার প্রবাসী ছেলে শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে এমন আজগুবি অভিযোগ ভিত্তিহীন, মিথ্যা, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও বানোয়াট। আমি উক্ত সংবাদের একাংশের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এবং সংশ্লিষ্ট প্রশাসনসহ কাউকে বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।
নিবেদক- শফিকুল ইসলামের পক্ষে পিতা- আবদুল গফুর, সাং- ডেইল পাড়া, টেকনাফ