হাফেজ মুহাম্মদ কাশেম, টেকনাফ :
ঘুর্ণিঝড়ে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের জাহালিয়াপাড়া শাহ মজিদিয়া আদর্শ নুরানী ও এবতেদায়ী মাদ্রাসা লন্ডভন্ড হয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে। মাদ্রাসার প্রতিষ্টাতা ও পরিচালনা কমিটির সভাপতি মাওঃ আবদুল মান্নান (০১৮১৫৯১১৬৪৯) জানান ঘুর্ণিঝড়ের মাত্র কয়েকদিন আগে ২ লক্ষাধিক টাকা খরচ করে মাদ্রাসার ঘেরা-বেড়া ও ছাউনী দেয়ার কাজ সম্পন্ন করা হয়েছিল। ঘুর্ণিঝড়ের আঘাতে নব-নির্মিত নুরানী ও এবতেদায়ীর শ্রেনী কক্ষ সম্পুর্ণ বিধ্বস্থ হয়ে যায়। তাছাড়া মসজিদের মেহরাব ও গাছপালার ক্ষতি হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ৩ লক্ষাধিক টাকা। বর্তমানে শ্রেনী কক্ষের অভাবে শিক্ষার্থীরা চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছে। তিনি ঘুর্ণি বিধ্বস্থ আদর্শ নুরানী ও এবতেদায়ী মাদ্রাসা সংস্কারে দেশী-বিদেশী, সরকারী-বেসরকারী সাহায্য সহযোগিতা অনুদান কামনা করেছেন।
জাহালিয়াপাড়া শাহ মজিদিয়া জামে মসজিদ, আদর্শ নুরানী ও এবতেদায়ী মাদ্রাসার জন্য ৪০ শতক (১কানি) জমি দাতা, প্রতিষ্টাতা ও পরিচালনা কমিটির সভাপতি মাওঃ আবদুল মান্নান জানান সর্বপ্রথম ১৯৯৮ সালে মাদ্রাসাটি প্রতিষ্টা করা হয়। বর্তমানে আদর্শ নুরানী ও এবতেদায়ী শাখায় ১৫৮ জন শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত। তম্মধ্যে শিশু শ্রেনীতে ৩৫ জন, ১ম শ্রেনীতে ২৫ জন, ২য় শ্রেনীতে ২৫ জন, ৩য় শ্রেনীতে ৪৫ জন, এবতেদায়ী ৪র্থ শেনীতে ১৮ জন এবং ৫ম শ্রেনীতে ১০ জন। কর্মরত ৫ জন শিক্ষক হলেন মাওঃ আবু ছিদ্দিক, মাওঃ জসিম উদ্দিন, মাওঃ কবির আহমদ, হাফেজ মাহমদুল হাসান, মাওঃ মোঃ আলম। ২০০৭ সালে প্রতিষ্টা লাভ করে জাহালিয়াপাড়া শাহ মজিদিয়া খানেকা জামে মসজিদ। ২০১১ সালের ১০ অক্টোবর মসজিদের নতুন ভবনের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেছিলেন খুটাখালীর পীর আলহাজ্ব শাহ সুফী হাফেজ মাওঃ আবদুল হাই।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।