মেম্বারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ

 

আবদুল মজিদ ,চকরিয়া :

চকরিয়ায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পবিত্র মাহে রমজান মাসে তারাবির নামাজের পরে দু’গ্রামবাসির মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।এতে দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা থামাতে গিয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানসহ চার জন আহত হয়েছে। গতকাল রবিবার রাত সাড়ে ১১টার সময় উপজেলার লক্ষ্যারচর ইউনিয়নে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। তবে ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে স্থানীয় জনতা বিক্ষোভ মিছিল করেছে।

সুত্রে জানাগেছে, লক্ষ্যারচর ইউনিয়নের ৬নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব পাড়া এলাকার আবুল আহমদের পুত্র ও চরপাড়া এলাকার আনোয়ার হোসেনের পুত্র সাজ্জাদের সাথে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা কাইছারের নিজস্ব কার্যালয়ে মিমাংসার জন্য বৈঠকে বসলে পরিষদের ৬নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার চৌধুরুল কবিরের নেতৃত্বে৩০/৩৫জনের একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী দেশীয় তৈরি ও ধারালো অস্ত্র সশস্ত্র নিয়ে বৈঠকে হামলা চালায়।এতে দু’পক্ষের লোকজনের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।এ সময় স্থানীয় চেয়ারম্যান ঘটনা থামাতে গিয়ে চেয়ারম্যানসহ ৪/৫জন গুরুতর আহত হয়।আহতদের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। ঘটনাস্থল থেকে বেশকিছু ধারালো অস্ত্রশস্ত্র জব্ধ করা হয়েছে। ঘটনার খবর পেয়ে চকরিয়া থানা পুলিশের এসআই অরুন কান্তি চাকমার নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন।

অপরদিকে ইউপি সদস্য চৌধুরুল কবির জানিয়েছেন, স্থানীয় দুপক্ষের মধ্যে সৃষ্ট ঘটনা সমাধানকল্পে ইউপি চেয়ারম্যানের নিজস্ব কার্যালয়ে শালিসী বৈঠকে বসেন। বৈঠক চলাকালে একটি পক্ষ পরিকল্পিতভাবে এঘটনাটি করেছে। এখানে আমার কোন সম্পৃক্ততা নেই।

এব্যাপারে স্থানীয় লক্ষ্যারচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা কাইছার বলেন, তুচ্ছ বিষয়ে সৃষ্ট সমস্যা মিমাংসার লক্ষ্যে তার কার্যালয়ে বৈঠকে বসেন। কিন্তু চরপাড়া এলাকার কিছু উশৃংখল যুবক আকষ্মিকভাবে ধারালো অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে হামলায় জড়িয়ে পড়ে। তিনি পরিস্থিত শান্ত করতে হামলায় ব্যবহৃত ধারালো অস্ত্র (ট্যারা ও দা) জব্দ করার চেষ্টা করলে উশৃংখল যুবকরা উল্টো আমার উপর হামলার চেষ্টা করে। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনা হয়।