শাহেদ মিজান, সিবিএন:
৪ জুন রোববার ছিলো কক্সবাজারের নেতৃত্ব সম্পন্ন সম্ভাবনাময়ী সাংবাদিক, যমুনা টিভির কক্সবাজারস্থ স্টাফ রিপোর্টার ইমরুল কায়েস চৌধুরীর জন্মদিন। কিন্তু ৩৪ তম এই জন্মদিনে তার অসুস্থ ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে চট্টগ্রামের চাইল্ডকেয়ার হাসপাতালে অবস্থান করছেন তিনি। তাই হয়তো আনুষ্ঠানিক জন্মদিনের আয়োজন করতে পারেননি। তিনি দূরে থাকলেও তার প্রতি জন্মদিনের ভালোবাসা প্রকাশ থেকে দূরে থাকেনি তার ভক্ত ও শুভাকাঙ্খীরা। তাকে কাছে না পেলেও সবাই সামাজিক মাধ্যমকে জন্মদিনের ভালোবাসা প্রকাশের মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছেন! আবার অনেকে মুঠোফোনেও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বলে জানা গেছে।
ফেসবুক পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে, কক্সবাজারের মিডিয়া ও রাজনীতি সংশ্লিষ্ট ফেসবুক ব্যবহারকারীদের টাইমলাইনে সারাদিন ঘুরঘুর করেছে ইমরুল কায়েসের জন্মদিনের শুভেচ্ছা বাহার! এমনকি টাইমলাইনের পুরোটা জুড়েই ছিলেন তিনি। তার ভক্ত ও শুভাকাঙ্খীরা নিজেদের ওয়ালে ছবিসহ নানাভাবে ভালোবাসার কথা লিখে তাঁকে শুভেচ্ছার ফুলঝুড়ি দিয়েছেন। সবাই তার শুভ কামনা করে ভবিষ্যত জীবনের জন্য আরো সাফল্য কামনা করেছেন।
ইমরুল কায়েসের ফেসুবক টাইমলাইন ঘেটে দেখা গেছে, ভক্ত ও শুভাকাঙ্খীরা নিজেদের শুভেচ্ছা স্ট্যাটাস ইমরুল কায়েসকে ট্যাগ করেছেন। এরকম শুভেচ্ছা স্ট্যাটাসের সংখ্যা শতাধিক ছাড়িয়ে গেছে। এরকম ভালোবাসা প্রকাশ সচরাচর ঘটে না বলে অনেককে অভিমত প্রকাশ করতে দেখা গেছে। এই অভাবনীয় ভালোবাসা প্রকাশ ফেসবুক ছাড়িয়ে শহরের অনেকের মুখে মুখে ঘুরছে। অনেকে এই নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন এবং এটা বিরল বলেও মত দেন।
এসব স্ট্যাটাসে অধিকাংশই শুভেচ্ছা জানিয়ে ক্ষান্ত থাকেনি। তারা ইমরুল কায়েসের জন্য আগামীর সুন্দর সম্ভাবনা অপেক্ষা করছে বলে অভিমত প্রকাশ করেছেন। সাংবাদিকতা জগতে বাজিমাত করা এই নেতাকে অনেকে আগামীর উখিয়া-টেকনাফের সম্ভাবনা হিসেবেও দেখছেন।
ইমরুল কায়েস উখিয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এবং উখিয়ার সজ্জন ব্যক্তিত্ব মাহমুদুল হক চৌধুরীর ছেলে। পেশায় তিনি একজন জাত সাংবাদিক। সাংবাদিকতায় খুব বেশিদিন না হলেও নেতৃত্বগুণে একটি শক্ত জায়গা করে নিয়েছেন। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের সাংবাদিকদের ‘ঠিকানা’ হিসেবে তিনি আবির্ভূত হয়েছেন তিনি। সেই সাথে সাংবাদিকদের অধিকার আদায়ের এক অগ্রপথিক হিসেবে তিনি পরিচিতি পেয়েছেন তিনি।
অন্যদিকে রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান হিসেবে রাজনীতিতেও তার সক্রিয় শক্ত অবস্থান রয়েছে। আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত এই মানুষটি সাংবাদিকতার বাইরে এসে দলের জন্যও সমানভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। এই কারণে উখিয়ায় তার একচ্ছত্র জনপ্রিয়তা রয়েছে সাধারণ মহলে। তাইতো সাংবাদিকতার পাশাপাশি রাজনীতি নিয়ে মাতোয়ারা ইমরুল কায়েসকে উখিয়া-টেকনাফের আগামীর কান্ডারি হিসেবে দেখছে সেখানকার মানুষ। তিনিও সেভাবে নিজেকে গুছিয়ে নিচ্ছেন।
এ ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করে ইমরুল কায়েস বলেন, ‘জন্মদিনে এতো মানুষের ভালোবাসা পাবো তা আমি কখনো কল্পনাও করিনি। হাজার হাজার মানুষে আজ আমাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছে, সবার প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। কিন্তু জন্মদিনের কোন আয়োজন ছিল না বা করিনি। আমার কাছে এই মুহুত্বে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন হলো আমার সন্তানদের সুস্থতা।
আমার ছেলে সাবিম আর মেয়ে ইমুনা খুব অসুস্থ। চট্টগ্রামে নিয়ে চট্টগ্রাম চাইল্ড কেয়ার হাসপাতালে আছি ৫ দিন ধরে। আমার ছেলেটা ৫ দিন ধরে আইসিও’তে। মেয়েটাও একই হাসপাতালে ভর্তি। আমার বাবুদের জন্য দোয়া করবেন। কথা দিলাম, আগামীতে সুযোগ হলে আপনাদের ভালোবাসার প্রতিদান দেবো।’
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।