শাহিদ মোস্তফা শাহিদ, কক্সবাজার সদর:

সম্প্রতি ভয়ে যাওয়া মোরা’র আক্রান্তে ক্ষতিগ্রস্ত বৃহত্তর ঈদগাহ এলাকায় কোন ধরনের ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ কিংবা এলাকা পরিদর্শন এবং কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ, মন্ত্রী, স্থানীয় সংসদ ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন ধরনের সহযোগীতা না আসায় ক্ষোভ জানিয়ে নিজের ফেইসবুক টাইমলাইনে স্ট্যাটাস লিখেছেন কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জালালাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রিয় চেয়ারম্যান ইমরুল হাসান রাশেদ। জনগনের ভোটে নির্বাচিত এ জনপ্রতিনিধি জনগনের দুঃখের কথা মাথায় এনে হঠাৎ এ স্ট্যাটাসে চেয়ারম্যান রাশেদের ফ্রেন্ড লিষ্টে থাকা বন্ধুরা অনেক ধরনের মন্তব্য করেছে। মুহুর্তের মধ্যে লাইক কমেন্টের সংখ্যা বাড়তে থাকে। তার স্ট্যাটাস টি হুবুহু তুলে ধরা হল। কক্সবাজারে মোরার আঘাতে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে আওয়ামীলীগের বিশেষ টিম, ব্যতিক্রম শুধু কক্সবাজার সদরের ক্ষতিগ্রস্ত বৃহত্তর ঈদগাঁহ! কক্সবাজার জেলায় সরকার দলীয় ৩ জন এমপি রয়েছেন। গত কয়েকদিন আগে ঘূর্ণিঝড় মোরার আঘাতে লন্ডভন্ড হয়ে যায় প্রাণের শহর কক্সবাজার। ঘূর্ণিঝড় শেষ হতে না হতেই তাৎক্ষণিক জননেত্রী শেখ হাসিনা নৌবাহিনীর নেতৃত্বে ২ টি খাদ্যভর্তি জাহাজ কুতুবদিয়া- টেকনাফের অসহায় মানুষের পাশে পাঠান যাতে ক্ষতিগ্রস্তরা খাদ্য সংকটে না পরেন। এর পরপরই শেখ হাসিনা ঘূর্ণিঝড় আক্রান্ত কক্সবাজারের মানুষের পাশে দাঁড়াতে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে একটি শক্তিশালী টীম কক্সবাজারে পাঠায় যারা ইতিমধ্যে বিভিন্ন উপজেলায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। জননেত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে যেখানে স্থানীয় সংসদ সদস্য, স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতাদের অংশগ্রহণ চোখে পরার মত কিন্তু ব্যতিক্রম ছিলো রামু- কক্সবাজার সদর। বিশেষ করে কক্সবাজার সদরের বৃহত্তর ঈদগাঁহ। কেন এমন হল? কেন আওয়ামীলীগের নেতৃত্বাধীন টীমকে আমরা কক্সবাজার সদরের বৃহত্তর এলাকা ঈদগাঁহর ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় নিয়ে যেয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের দূর্দশা দেখাতে ও ত্রাণ কার্যক্রম অংশগ্রহণ করাতে পারলামনা। কেন আজৌ অনেক ক্ষতিগ্রস্ত পোকখালী, গোমাতলী, চৌফলদন্ডী, জালালাবাদ, ইসলামপুর, ঈদগাঁহ, ভারুয়াখালী, ইসলামাবাদের মানুষ খোলা আকাশের নিচে? গোমাতলী তো এখনও পানির নিচে এ দায় কে নিবে? কে তাদের পাশে দাঁড়াবে?