যুগান্তর :
রাঙ্গামাটির লংগদুতে যুবলীগ নেতার মৃত্যুর জেরে পাহাড়িদের বাড়ি-ঘরে হামলা ও আগুনের ঘটনায় ১৫ জনের নাম উল্লেখসহ ৩-৪ শ’ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ।
শনিবার রাঙামাটির লংগদু থানার ওসি মমিনুল হক এ তথ্য জানিয়েছেন।
এদিকে ওই এলাকায় এখনো আতংক বিরাজ করছে। আইনশৃংখলা পরিস্থিতি শান্ত রাখতে ১৪৪ ধারা অব্যাহত রেখেছে প্রশাসন।
শনিবার সকাল পর্যন্ত ওই ঘটনায় ৭ জনকে গ্রেফতারের কথা জানিয়েছে পুলিশ। তবে দোষীদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে খাগড়াছড়ি-দীঘিনালা সড়কের চারমাইল (কৃষি গবেষণা এলাকা সংলগ্ন) নামক স্থানে নুরুল ইসলাম নয়ন নামে এক যুবলীগ নেতার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
পরদিন শুক্রবার তার লাশ নিয়ে এক মিছিল থেকে উত্তেজিত বাঙালিরা পাহাড়িদের বাড়ি-ঘরে হামলা করে ভাংচুর ও আগুনে পুড়িয়ে দেয়। এ ঘটনায় ওই এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে উপজেলা প্রশাসন।
এদিকে আতংকে বাড়ি-ঘর ছেড়ে যাওয়া পাহাড়িরা এখনো তাদের নিজ নিজ এলাকায় ফিরে আসেনি বলে জানা গেছে।
অপরদিকে গ্রেফতার আতংকে এলাকা ছেড়েছে বাঙালিরাও। এতে পরিস্থিতি এখনো থমথমে রয়েছে।
শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মানজুর মান্নান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এসময় জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারও তার সঙ্গে ছিলেন।
তিনি বলেন, এ ধরনের ঘটনা কাম্য ছিল না। পার্বত্য চট্টগ্রামে যেকোনো মূল্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি বজায় রাখা হবে। এজন্য সবাইকে সচেতন ও ধৈর্যসহকারে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান জেলা প্রশাসক।
লংগদু থানার ওসি মমিনুল হক জানান, হামলার ঘটনায় ১৫ জনের নাম উল্লেখসহ ৩-৪ শ’ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের হয়েছে। দোষীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রেখেছে পুলিশ।
এছাড়া যেকোনো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে। লংগদুর বিভিন্ন স্থানে সেনাবাহিনীও টহলে রয়েছে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।