আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
মহেশ শর্মা নামে ভারতের যে বিচারক আগে বলেছিলেন ‘গরু ধর্মপ্রাণ প্রাণী’, সেই বিচারক এবার বলেছেন ‘ময়ূর ধর্মপরায়ণ পাখি।’ তিনি বলেছেন, ময়ূরকে ভারতের জাতীয় পাখি হিসাবে নির্বাচন করা হয়েছে, কারণ মনে করা হয় ‘ময়ূর ধর্মপরায়ণ পাখি’ এবং ময়ূর ‘আজীবন কৌমার্য পালন করে।’
বিচারকের এই মন্তব্য নিয়ে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে তাকে চরম উপহাসের শিকার হতে হচ্ছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিবিসি বাংলা।
বিবিসি বাংলার প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, ভারতের একটি টিভি চ্যানেলে বিচারক মহেশ শর্মা বলেন, ‘একমাত্র ময়ূরের অশ্রুজল পান করলেই ময়ূরী গর্ভবতী হয়।’
মহেশ শর্মা উত্তর ভারতে জয়পুরের সাংবাদিকদের বলেন তার বিশ্বাস মানুষ ময়ূর এবং গরুকে পূজা করে এই দুই প্রাণীর ‘ঐশ্বরিক গুণাবলীর’ জন্য।
গরুকে অবিলম্বে জাতীয় পশুর মর্যাদা দেয়ার জন্য সরকারের কাছে সুপারিশ করেছেন বলেও জানান তিনি।
কিন্তু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার এসব বক্তব্য নিয়ে ছাট্টা করা হচ্ছে।
রোহিত প্রধান নামে একজন টুইটারে লিখেছেন, ময়ূরপ্রেমী বিচারক যা লিখেছেন সেটাই প্রজনন প্রক্রিয়া নিয়ে ভারতীয় বাবা-মায়েরা যুগ যুগ ধরে তাদের সন্তানদের শিখিয়ে আসছেন।
অপর একটি টুইটে ঠাট্টা করে লেখা হয়েছে, হাইকোর্টের একজন বিচারপতি যখন ময়ূরের কৌমার্য নিয়ে এত মজার খোরাক জোগাচ্ছেন তখন আর ‘কমেডি নাইট’ জাতীয় হাস্যরসাত্মক অনুষ্ঠানের কী প্রয়োজন!
‘বিচারকের শিক্ষাগত যোগ্যতা, তার ডিগ্রি এসব যাচাই করে দেখা উচিত’ এবং ‘বিচার বিভাগের মান কোথায় নামছে’ এ জাতীয় মন্তব্যও এসেছে টুইটারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন মহেশ শর্মার তত্ত্বের কোনো ভিত্তি নেই।
পাখি বিশেষজ্ঞ বিক্রম গ্রেওয়াল ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে লিখেছেন, ‘ময়ূর অশ্রুপান করে গর্ভবতী হয় এমন কথা ছিল পুরাকালের একটা ভ্রান্ত ধারণা। ময়ূর আর সব পাখির মতোই যৌন মিলনের মধ্যে দিয়ে সন্তানধারণ করে।’
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।