জসিম মাহমুদ ।।
টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের ৪০ হাজার জনগোষ্ঠী ত্রাণ নয় বাধঁ নির্মানের দাবী জানিয়েছেন। শুক্রবার দুপুর দেড় টার দিকে দুর্গত এলাকা শাহপরীর দ্বীপে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ত্রাণ বিতরনকালে উপরে হাত তুলে এ দাবী জানান ক্ষতিগ্রস্থরা। এসময় তাদের সঙ্গে একমত পোষন করেন উখিয়া-টেকনাফের সাংসদ আব্দুর রহমান বদি।
শুক্রবার টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের নেতেৃত্বে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারা ঘূর্ণিঝড় মোরা আঘাতে ক্ষতিগ্রস্থ এক হাজার পরিবারকে ত্রাণ বিতরন শুরু করেন। ত্রাণ ২০ কেজি চাউল ও এক হাজার টাকা দেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ হতে ক্ষতিগ্রস্থ মানুষদের পাশে এসে দাড়িয়েছি উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোরার আঘাতে ক্ষতিগ্রস্থদের সহায়তায় আমরা উপকূলে চলে এসেছি, কিন্তু বিএনপি ও তার দল কখন আসবে? শুধু ঢাকা বসে বড় বড় কথা বলে আর ফটোসেশন করে তারা। কিন্তু শেখ হাসিনার সরকার ফটোসেশন করেনা। আমরা ক্ষতিগ্রস্থ মানুষকে ত্রাণ দিচ্ছি। তাদের পাশে দাড়িয়ে ঘরহারা মানুষদের আবাসন তৈরিসহ একে একে সব ক্ষতি পুষিয়ে দেয়া হবে। ঘুর্ণি ঝড় কবলিত এলাকার একটি মানুষও না খেয়ে থাকবে না। যত দ্রুত সম্ভব দ্বীপের বেড়ি বাধঁ নির্মান করে দেওয়া হবে। আর বিএনপি রোজার দিনেও মিথ্যা কথা বলছে। আওয়ামীলীগ
লুটপাটের বাজেট করেনা, এই বাজেট উন্নয়ন ও জনকল্যাণে বাজেট বলে উল্লেখ করেন এ মন্ত্রী। ত্রান নিতে আসা জুহুরা বেগম (৫০) ও নুর মোহাম্মদ (৪৫) বলেন, গত মঙ্গলাবার ঘুণিঝড় মোরার আঘাতে আমাদের ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। এরপর থেকে কষ্টের দিন কাটাছি। আমরা এ ২০ কেজি চাউল নিয়ে কি করব? এগুলো কোথায় রান্না করব? আমাদের কোন ঘরবাড়ি নেই?আমরা ত্রাণ চাইনা, হারিয়ে যাওয়া ঘর ফিরে ফেতে চাই।
তারা বলেন, আমাদের দাবি ত্রাণ নই আমাদের ঘরবাড়ি চাই, আর এ দ্বীপবাসির এক মাত্র চাওয়া ভাঙ্গা বেড়ি বাধঁ নির্মান ও যোগাযোগ চলাচলের ব্যবস্থা করে দেওয়ার সরকারের প্রতি দাবি জানাচ্ছি।
সাংসদ বদি বলেন, বেড়ি বাধঁ না থাকায় গত পাচঁ বছর ধরে দ্বীপের ৪০ হাজার মানুষ কষ্টে রয়েছে। পাশাপশি টেকনাফ-শাহপরীর দ্বীপ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। এতে এ দ্বীপের জনগোষ্টীকে নৌকা নিয়ে পারাপার করতে হচ্ছে। দ্বীপবাসির একমাত্র দাবি বাধঁ নির্মান করে দেওয়া জন্য মন্ত্রীকে বিশেষ অনুরোধ জানান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, দলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ, সাংগঠনিক একেএম এনামুল হক শামিম, যুগ্ম সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক এমপি, সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুর রহমান এমপি, ঢাকা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক নওফেল চৌধুরী,আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষযক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপি, কেন্দ্রিয় নেতা আকতারুজ্জামান, সুজীত রায় এমপি, দিপংকর তালুকদার ও আনোয়ার হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান, স্থানীয় সাংসদ আব্দুর রহমান বদি, জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন, সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রানাপ্রিয় বড়–য়া, জেলা নেতা শাহ আলম (রাজা), নাজনিন সরওয়ার কাবেরী, শফিক মিয়া, টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদ হোসেন ছিদ্দীক, সহকারি কমিশনার ভুমি তুষার আহমদ, সাবরাং ইউপি চেয়ারম্যান নুর হোসেন, সদর ইউপি চেয়ারম্যান শাহাজান মিয়া, আ.লীগ নেতা সোনা আলী,মনির উল্লাহ,রেজাউল করিম রেজা ও ফজলুল হত প্রমুখ। এর আগে বেলা ১২ টার দিকে সড়ক যোগে মন্ত্রীর গাড়ি বহর সাবরাং খুরের মুখ পৌছলে সেখান থেকে স্পীড বোট যোগে তিনি শাহপরীর দ্বীপে যান।
অন্যদিকে দলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ ও সাংসদ আব্দুর রহমান বদির নেৃতত্বে বিকেল সাড়ে তিন দিকে স্পীড বোট যোগে শাহপরীর দ্বীপ জেটি দিয়ে সেন্টমার্টিনে পৌছেন। তারা সেখানে এক হাজার ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারকে ১ হাজার টাকা ও ২০ কেজি করে চাউল বিতরন করেন। এরপর তারা টেকনাফে ফিরে আসেন।
সেন্টমার্টিনের সুলাতান আমদ (৭৫) বলেন, আমার এক মাত্র সম্বল ঘর হারিয়ে আমি নি:স্ব হয়ে গেছি। ২০ কেজি চাল নিয়ে কি হবে? সরকার কাছে দাবি ত্রাণ নই হারিয়ে যাওয়া ঘরটি ফিরে দেওয়া হউক।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।