জালাল আহমদ,ঢাবি থেকে : একাত্তরের স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির দোসর রাজা ত্রিদেব রায়,সন্তু লারমা ও তাদের উত্তরসুরী ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায়ের নেতৃত্বে পাহাড়ী উপজাতিরা পার্বত্য চট্টগ্রামে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে।তারা একাত্তরে যেভাবে হত্যা,নির্যাতন,খুন খারাবী করেছিল, সেভাবে এখনো বাঙালিদের উপর নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে।তার সর্বশেষ শিকার হয়েছেন রাঙ্গামাটি জেলার লংগদু উপজেলার মোটর চালক স্থানীয় যুবলীগ নেতা নুরুল ইসলাম নয়ন।শুধু নয়ন নয়,একাত্তরের পর হতে এ পর্যন্ত ৪০ হাজার বাঙ্গালীরা পাহাড়ী উপজাতি সন্ত্রাসীদের হাতে নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।সরকার কোন হত্যাকারীকে গ্রেফতার করতে পারেনি।গতকাল বিকালে শাহবাগ মোড়ে নুরুল ইসলাম নয়ন হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত এক মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা একথা জানান।সংগঠনের সভাপতি সাদ ফরাজী সাকির সভাপতিত্বে এড. সারোয়ার হোসেনের সঞালনায় সমাবেশের প্রধান অতিথি পার্বত্য চট্টগ্রাম বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও পার্বত্য নাগরিক পরিষদের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী আল কাছ মামুন ভুঁইয়া সম্প্রতি উচ্চ আদালতের রায় প্রসঙ্গে বলেন,মহামান্য হাইকোর্ট একাত্তরের রাজাকার ত্রিদিব রায়ের নামে সকল স্থাপনা হতে তার নাম মুছে ফেলার যে আদেশ দিয়েছেন,সেটা এক যুগান্তকারী রায়। এজন্য পার্বত্য নাগরিক পরিষদের পক্ষ হতে বিচার পতিদের তিনি অভিনন্দন জানান।এ সময় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্রপরিষদের সাবেক সাধারন সারোয়ার জাহান বলেন,পার্বত্য চট্টগ্রামে সন্তু লারমার নেতৃত্বে প্যারালাল সরকার গড়ে উঠেছে । সেখানে যুবলীগ কর্মী নুরুল ইসলাম নয়ন হত্যা তারই প্রমান ।তিনি পার্বত্য চট্টগ্রামে চিরুনি অভিযান চালিয়ে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের জন্য সরকারের প্রতি উদাত্ত আহবান জানান।সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন রিয়াদ, আলা উদ্দিন ,জালাল,হামিদ সহ অনেকে।
।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।