নুরুল কবির,বান্দরবান
নাইক্ষ্যংছড়ি,কক্সবজারের সদর ও রামু উপজেলার কয়েকটি এলাকা সফর করেছেন আওয়ামীলীগ দলীয় উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দলের সদস্যবৃন্দ। মোরার আঘাতের ৪দিনের মাথায় শুক্রবার সরকারি দলের প্রতিনিধিরা ঘূর্ণিদূর্গত কয়েকটি এলাকা সফরকালে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের মাঝে কিছু ত্রাণ বিতরণ করা হয়। এ সময় পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপি দুর্গতদের বলেন, সরকারের ত্রাণ মন্ত্রণালয় এবং পার্বত্য মন্ত্রণালয় থেকে মোরায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে বিতরণের জন্যে পর্যাপ্ত ত্রাল মজুদ রয়েছে এবং তা ক্রমেই বিতরণ করা হবে।
পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপির নেতৃত্বে দুর্গত এলাকাসমুহ পরিদর্শনে আসা আওয়ামলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রতিনিধি দলে ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা অসীম কুমার উকিল এমপি, সরকারি দলের কেন্দ্রীয় কমিটি নেতা ও গাজিপুর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আক্তারুজ্জামান, পার্বত্য বান্দরবান জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ক্যশৈহ্লা, জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিক, পুলিশ সুপার সনজ্তি কুমার রায়, বান্দরবান পৌর মেয়র মো.ইসলাম বেবী, আওয়ামী লীগের নেতা সফিউল্লাহ এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও দলীয় নেতৃবৃন্দ।
বান্দরবান জেলায় ঘূর্ণিঝড় মোরায় বেশি ক্ষতিগ্রস্ত নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু বাজার, মধ্যতুমব্রু এলাকা, ঘুমধুম এবং নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা সদরের বেশকটি এলাকা পরিদর্শন করেছেন আওয়ামীলীগ দলীয় প্রতিনিধিরা। এদিকে, নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউপি চেয়ারম্যান তসলিম ইকবাল চৌধুরী বলেন, তার ইউনিয়নে ৬শ’ পরিবার সম্পুর্ণভাবে এবং ১২শ’ পরিবার আংশিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
এদিকে, জেলা ত্রাণ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হোছাইন আল মুজাহিদ জানান, সরকারের নির্দেশনায় জেলা প্রশাসন থেকে তাৎক্ষণিক ভাবে জেলায় মোরায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় ১৫শ’ পরিবারের মাঝে ৫০ মেট্টিক টন সাধারণ ত্রাণ (জিআর) এবং নগদ ৯০ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে শুক্রবার। এসব ত্রাণের চাল এবং নগদ অর্থ স্থানীয় প্রশাসন কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যেমে বিতরণ করা হয়। ওই ত্রাণ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, জেলায় ঘূর্ণিদুর্গত প্রায় ৪ হাজার পরিবারের মাঝে দ্রুতসময়ের মধ্যে বিতরণের জন্যে ৫ হাজার বান্ডিল ঢেউটিন, নগদ ৫০ লাখ টাকা এবং ১০০ মেট্টিকটন চালের চাহিদাপত্র সরকারের উচ্চ মহলে পাঠানো হয়েছে।
শুক্রবার দুপুরে সরেজমিন সফরকালে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার চাকঢালা গ্রামের আলী আহমদ ও মমতাজ এ প্রতিনিধিকে বলেন, গত মংগলবার ভোররাতে বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় মোরায় বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রকমারী বনজ-ফলজ বাগান,পানের বরজ ও আখ চাষ। ফলে এ উপজেলাজেলার কৃষক’ল আর্থিকভাবে দারুণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপপরিচালক জানান, ঘূর্ণিঝড় মোরার আঘাতে জেলায় কৃষিক্ষেত্রে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তার মধ্যে প্রাথমিক তথ্যে প্র্রায় ২০৪ হেক্টর জমির ফলজ এবং ৩০ হেক্টর জমির সবজি ক্ষেত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। #
ছবির ক্যাপশান : নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউপি অফিসে ঘূর্ণিঝড় মোরায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করছেন আওয়ামীলীগ দলীয় কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিবৃন্দ।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।