নারী-শিশুসহ ৩৫ জন আহত
আবুল আলী ,টেকনাফ :
ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’র আঘাতে কক্সবাজারের টেকনাফে সাড়ে ৪ হাজার ঘর-বাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। আঘাতে নারী শিশুসহ ৩৫ জন আহত হয়েছেে । এদের অনেককে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে।
আহতরা হলেন সব্বির হাসন, মো. রফিক, মো. আরমান, সাবান হোসেন, শামসু আলম, নূর কলিমা, সাঞ্জিদা আকতার, রাজিয়া আকতার ও নূর জাহান, কামাল হোসেন, নুরু মোহাম্মদ জামাল, শিশুরা হলেন জিহান, রাখিব হোসেন।
টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক শোভন দাস জানান, ঘূর্ণিঝড়ে গাছ পড়ে এবং উড়ে আসা টিনের চালের আঘাতে তারা আহত হন। আহত দুজন আবু তাহের ও আব্দুর মালেক উন্নত চিকিৎসা জন্য কক্সবাজার পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ৬টায় ঘূর্ণিঝড় মোরা টেকনাফে আঘাত হানে। সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নূর আহমেদ জানান, ঘূর্ণিঝড় মোরা’র আঘাতে এলাকায় সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
তিনি আরও জানান, মোরার আঘাতে দ্বীপের প্রায় ১০ জন আহত হয়েছে এবং ৮শ’ ঘর-বাড়ি বিধ্বস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহিদ হোসেন সিদ্দিক জানান, মোরার আঘাতে টেকনাফে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। উপজেলায় প্রায় ৩৫ জন নারী- শিশু আহত হলেও এখনো নিহতের খবর পাওয়া যায়নি।
কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক জানান, মোরা ঘণ্টায় ১৩৫ কিলোমিটার বেগে টেকনাফে ও ১১৪ কিলোমিটার বেগে সেন্টমার্টিনে আঘাত করে। এছাড়া কক্সবাজারে ১১৫ কিলোমিটার বেগে আঘাত হানে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।