শাহেদ মিজান, সিবিএন:
ধেয়ে আসা ঘুর্ণিঝড় ‘মোরা’র বিপদ সংকেত স্বাভাবিক মাত্রা অতিক্রম করায় নিরাপদ আশ্রয়ে ছুটছে উপকূলে বাস করা মানুষ। ১০ নং মহাবিপদ সংকেত অতিক্রম করার সাথে সোমবার ইফতারের পর থেকে আশ্রয়ে জন্য ছুটছে উপকূলের মানুষ। এর আগে বিকাল থেকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সরে যেতে বলা হলেও সরেনি কেউ সরেনি। বিপদ সংকেত বেড়ে যাওয়ায় শেষ পর্যন্ত সরে যেতে বাধ্য হচ্ছেন।
স্থানীয় পর্যায়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঘুর্ণিঝড় ‘মোরা’র আসন্ন প্রভাব থেকে বাঁচতে সোমবার সন্ধার আগেই উপকূলের সব লোকজনকে নিরাপদে সরে যেতে নির্দেশ দেয় প্রশাসন। কিন্তু এতে কেউ সরেনি। সংকেত বেড়ে যাওয়ায় নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে ছুটে চলছে এসব মানুষ।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, কক্সবাজারের উপকূলীয় উপকূলীয় এলাকা কুতুবদিয়ার সবকটি ইউনিয়নের নিচু এলাকা, মহেশখালীর ধলঘাটা, মাতারবাড়ি, কুতুবজোমের ঘটিভাঙ্গা, তাজিয়াকাটা, শাপলাপুরের জেমঘাট, কক্সবাজার শহরের সমিতিপাড়া এবং টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ, সেন্টমার্টিন ও পেকুয়ার বেশ উপকূলীয় এলাকা ঝুঁকির মুখে রয়েছে।
নিরাপদ আশ্রয়ে ছুটে চলা মানুষগুলো আশ্রয়কেন্দ্র, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও উচু জায়গায় ঠাঁই নিচ্ছে। শহরের সমিতিপাড়ার লোকজন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত ঝাউতলাসহ বিভিন্ন স্থানের হোটেলে, পাবলিক হল ভবন, সাংস্কৃতিক কেন্দ্রসহ বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’ বাংলাদেশের উপকূলের আরও কাছাকাছি, ৩৪৫ কিলোমিটারের মধ্যে চলে এসেছে। এটি আগামীকাল মঙ্গলবার সকাল নাগাদ বাংলাদেশের চট্টগ্রাম-কক্সবাজার উপকূলে আঘাত হানতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। এজন্য চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত জারি করা হয়েছে।
আজ সোমবার বিকেলে আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও কাছাকাছি এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’ আরও সামান্য উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছিল।
এটি সোমবার বিকেল ৩টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৪২৫ কি.মি. দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৪৫ কি.মি. দক্ষিণ-পশ্চিমে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৮০ কি.মি. দক্ষিণ-পূর্বে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪১৫ কি.মি. দক্ষিণ-পূর্ব দিকে অবস্থান করছিল। এটি আরও ঘণীভূত ও উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে মঙ্গলবার (৩০ মে) সকাল নাগাদ চট্রগ্রাম-কক্সবাজার উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন জানিয়েছেন, অনিরাপদ স্থানে যেন একটা লোকও না থাকে সে ব্যাপারে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কঠোর নির্দেশ দেয়ে হয়েছে।
নিরাপদ আশ্রয়ে ছুটছে মানুষ
পড়া যাবে: [rt_reading_time] মিনিটে