নুরুল আমিন হেলালী

জৈষ্ট্যের অতি তাপদাহে অতিষ্ট জনজীবনে অবশেষে স্বস্থির বৃষ্টির দেখা মিলেছে। ২৮মে শনিবার বৈকালিক বৃষ্টিতে জৈষ্ট্যের তাপদাহে অতিষ্ট জেলার সর্বত্র শুষ্ক প্রাণে ফিরে এসেছে প্রাণস্পন্দন। স্বল্পসময়ের হালকা বর্ষণ তাপদাহে নাভিশ্বাস উঠা প্রকৃতি ও জনজীবনে স্বস্থি ফিরিয়ে দিয়েছে। আবহওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, মধ্য বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের কারণে গত কয়েকদিন প্রকৃতি ও আবহওয়া গুমট অবস্থায় বিরাজমান ছিল। বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ঋতু পরিবর্তনও প্রলম্বিত হতে শুরু করেছে। আর সেই কারণে বাংলা বর্ষপঞ্জী অনুসারে জৈষ্ট্যের শেষদিকে এসে দেখা দিয়েছে গ্রীষ্মের খরতাপ, দাবদাহ ও উষ্ণপ্রবাহ। বৃষ্টির প্রত্যাশায় প্রকৃতিতে চলেছে মেঘ বন্দনা। আমন চাষের মৌসুম শুরু হয়ে গেলেও কৃষককুল বৃষ্টির অভাবে মাঠে নামতে পারেনি। ফলে বিলম্বিত হয়েছে বীজতলা তৈরিসহ আমন চাষের পূর্বপ্রস্তুতি। প্রচন্ড খরতাপের কারণে জেলার বিভিন্ন স্থানে ভূ-গর্ভস্থ পানিস্থরও নিচে নেমে যাওয়ার সংবাদ পাওয়া গেছে। হালকা বর্ষণে বাঁকখালী, মাতামুহুরী ও ফুলেশ্বরী নদীসহ অন্যান্য ছোট ছোট খাল ও ছড়ায় সামান্য হালের পানি পড়েছে। শহরের বিভিন্নস্থানে বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের অভাবে সৃষ্টি হয়েছে হালকা জলাবদ্ধতা। টেকসই ও কার্যকরী ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকার ফলে গোলদিঘীর পাড়, বড়বাজার, বাজারঘাটা, থানার পেছনরোড়,বৌদ্ধমন্দির সড়ক, চাউল বাজার, গাড়িরমাঠ এলাকাসহ সর্বত্র হালকা জনদূর্ভোগ বেড়েছে। কিছু কিছু সড়কে বৃষ্টির পানি রাস্তার কাদার সাথে মিশে জলকাদায় ভরে গেছে। ফলে বিঘিœত হয়েছে যানচলাচল ও জনজীবনের স্বাভাবিক গতিপ্রবাহ। বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের টেকসই ব্যবস্থার অপ্রতুলতার কারণে পুরো বর্ষামৌসূমে ওই সমস্ত এলাকার অবস্থা এরকম থাকতে পারে বলে মন্তব্য স্থানীয় বাসিন্দাদের। অপরিকল্পিতভাবে আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণের ফলে শহর ও পার্শ্ববর্তী এলাকাসমূহে প্রতিবছর বাড়ছে জলাবদ্ধতা। এছাড়া ড্রেনেজ ব্যবস্থার সুষ্ঠু তদারকির অভাবে ড্রেনগুলো বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনে অকার্যকর হয়ে পড়েছে। শহরের জলাবদ্ধতা দূরীকরণে পদক্ষেপ নেয়া না হলে বর্ষার ভারী বর্ষণে জনদূর্ভোগ চরম পর্যায়ে পৌঁছাতে পারে বলে মনে করছেন সচেতনমহল।