যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টারে  মার্কিন শিল্পী আরিয়ানায় গ্রান্ডের কনসার্টে পরপর দুটি  বোমা হামলা হয়েছে। এঘটনায় কমপক্ষে ১৯ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও  ৫০ জন।

স্থানীয় সময় সোমবার রাতে ম্যানচেস্টারে মার্কিন সংগীতশিল্পী অ্যারিয়ানা গ্র্যান্ডের এক কনসার্ট শেষে এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

একে সন্ত্রাসী হামলা হিসেবে সন্দেহ করা হচ্ছে। তবে ব্রিটিশ পুলিশ সেরকম কিছু নিশ্চিত করেনি এখনো।

বিবিসি সূত্র জানায়, মার্কিন গায়িকা আরিয়ানা গ্রান্দে ম্যানচেস্টার এরিনাতে তার কনসার্ট কেবল শেষ করার পর যখন দর্শকরা উঠে বের হতে শুরু করেন ঠিক তখনই এই বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। এরপরই ব্যাপক আতংক ছড়িয়ে পড়ে।

একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন বিস্ফোরণে তিনি কয়েক মিটার দূরে ছিটকে পড়েন।

এ ঘটনার পর মাঠের মধ্যেই বহু মানুষকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে তার নির্বাচনী প্রচারনার সব কার্যক্রম স্থগিত করেছেন। এই হামলার প্রেক্ষাপটে সরকারের জরুরি কোবরা কমিটির সঙ্গে এক বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন তিনি।

মে বলেছেন ‘ম্যানচেস্টারে হামলার ঘটনাটা কীভাবে ঘটলো সেই বৃত্তান্ত জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।’

এ হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি ও তাদের পরিবারের পাশে আমরা আছি বলে জানান প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে।

লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন এক টুইট বার্তায় বলেছেন, ম্যানচেস্টারের ঘটনা একটা ভয়াবহ ঘটনা।

তিনি এই বিস্ফোরণে আক্রান্তদের সবার প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন এবং যারা সেখানে জরুরি সহায়তা দিচ্ছেন তাদের প্রশংসা করেছেন।

এই কনসার্টে অনেক তরুণ প্রজন্মের ছেলে-মেয়েরা ছিলেন। ছোট বাচ্চাদের নিয়ে অনেক পরিবার ছিল।

ম্যানচেস্টার এরিনার কাছেই ভিক্টোরিয়া ট্রেন স্টেশন বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।  পুলিশ ওই এলাকা থেকে মানুষজনকে দূরে থাকার পরামর্শ দিয়েছে।

বড় ধরনের কনসার্ট ভেন্যু হিসেবে ইউরোপজুড়ে বেশ জনপ্রিয় এই ম্যানচেস্টার অ্যারিনা। এখানে একসঙ্গে প্রায় ২১ হাজার দর্শনার্থীর ধারণক্ষমতা রয়েছে।