মোহাম্মদ শফিক

মাংসের দাম নিয়ন্ত্রণ রাখতে ব্যবসায়ীদের সাথে মতবিনিময় করলেন কক্সবাজার পৌর মেয়র মাহবুবুর রহমান চৌধুরী। ২২মে বিকালে কক্সবাজার পৌরসভার সম্মেলন কক্ষে এই এ মত বিনিময় সভা অনুষ্টিত হয়। ওই সময় বাজার মনিটরিং কর্মকর্তা শাহজান আলী, জেলা স্যানেটারি ইন্সিপেক্টর তরুণ বড়ুয়া ও শহরের বাজারে সকল মাংস বিক্রেতারা উপস্থিত ছিলেন। তবে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণের কোন প্রতিনিধি সভায় উপস্থিত না থাকায় এক তরফা মাংসের দাম নির্ধারণ করার অসন্তোষ্টি প্রকাশ করেছে সাধারণ ভোক্তাগণ।

তাদের মতে যে ভাবে মাংস্যের দাম নির্ধারণ করেছে তা সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাইরে।

এই আলোচনা সভায়, রমজানে মাংসের দাম কত টাকা থাকবে এইটি নির্ধারণ করা হয়। গরুর মাংস হাড়সহ ৫শ টাকা, মহিষের মাংস ৫শ টাকা, খাসী ছাগলের মাংস ৭শ টাকা, চেমী ৬শ টাকা, পাটা ছাগলের মাংসের দাম ৬০০ টাকা রাখা হবে বলে জানানো হয়। এছাড়া রানকাটা মাংস ক্রেতা এবং বিক্রেতার সমঝোতার মধ্যেই। এছাড়া কোন মাংস ব্যবসায়ী পৌরসভা কর্তৃক নিয়োগ কৃত মৌলানা রেজারুল করিম ছাড়া গরু জবাই করতে পারবে না এবং তিনি জবাই করা গুরুর উপর একটি শীল মারবেন। শীল ছাড়া কোন গুরুর মাংস শহরের কোন বাজারে বিক্রি করতে পারবে না বলে সিন্ধান্ত গৃহীত হয়। প্রত্যেক দোকানে নির্ধারিত মূল্য তালিকা ঝুলাতে হবে। প্রত্যেকের লাইসেন্স থাকতে হবে। এসব বিষয়ে কেউ অনিয়ম করলে শাস্তির আওতায় আনা হবে তাদেরকে সাফ জানিয়ে দেন মেয়র।

তবে এই আলোচনা সভায় সাধারণ ভোক্তাধিকারের পক্ষে কোন প্রতিনিধি উপস্থিত না থাকায় দামের ক্ষেত্রে কোন ধরণের পরিবর্তন হয়নি বলে দাবী করছেন জেলা ভোক্তাধিকার ও সংরক্ষণ কমিটির সভাপতি সাংবাদিক ফজলুল কাদের চৌধুরী। তিনি আরো জানান, জেলা বাজার মনিটরিং কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের চরম গাফলেতি রয়েছে। মাংস ব্যবসায়ীদের সাথে তাদের আতাত থাকায় তারা সারা বছরতো মাংসের দাম যা ইচ্ছেমতো বিক্রি করছে পবিত্র রমজান মাসেও তারা কোন ধরণের মাংসের দাম কমায়নি। এটি সাধরণ ভোক্তাদের সাথে চরম সাথে হয়রানি করা হচ্ছে।

শহরের কালোর দোকানের হাসান আলী, রুমালিয়ার ছড়ার হানিফ, শিক্ষিকা রুমেনা আক্তার জানান, বাজার মনিটরিং কর্মকর্তাদের বাজার পরিদর্শনে চরম অবহেলা রয়েছে। এ সুযোগে আসুধ বিক্রিতারা যা ইচ্ছে বিক্রি করে থাকে। তারা অফিসে বসে কাগজে কলমে বাজার মনিটরিং করলেও বাস্তবে তাদেরকে দেখা মিলে না।

এ ব্যাপারে মনিটরিং কর্মকর্তা শাহজান আলী জানান, মেয়র সাহেব মাংস বিক্রিতাদের সাথে বসে মাংসের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে সেখানে আমার আমার করার কিছু থাকে না। কেউ মাংস বিক্রির সময় কোন ধরনের অনিয়ম করে থাকলে তাদের কে সাথে সাথে আইনের আওতায় আনা হবে। আর সকল মাংস বিক্রিতারা ডিজিটাল মেশিন ব্যবহারের জন্য বলা হয়েছে। কেউ যদি উল্লেখিত নির্দেশনা গুলো অমান্য করে তা হলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনী প্রদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।