মু‌ফিজুল ইসলাম মু‌ফি :
কক্সবাজারের ঈদগাঁওতে খেলাধুলার প‌রিপূর্নতার জ‌ন্যে কো‌টি টাকা ব্য‌য়ে নি‌র্মিত হ‌চ্ছে ৫০ হাজার  দর্শক ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন বঙ্গবন্ধু স্টে‌ডিয়াম। ই‌তিম‌ধ্যে মা‌ঠের কাজ ও গ্যলারীর একাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।  চট্টগ্রাম মহাসড়ক সংলগ্ন প‌য়ে‌ন্টে, “ঈদগাঁও বঙ্গবন্ধু স্টে‌ডিয়া‌ম” নাম ফলকের বিশাল গেইট স্থাপন সম্পন্ন হ‌য়ে‌ছে। বর্তমান সরকারের চলমান উন্নয়ন কাজের অংশ হিসেবে ঈদগাঁওবাসীর জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে খেলাধুলার মানোন্নয়ন ও খেলোয়াড় সৃষ্টির লক্ষে স্টেডিয়ামটি নির্মাণ করা হচ্ছে। কক্সবাজার সদর, রামু, চকরিয়া ও নাইক্ষ্যংছড়ির মাঝামাঝি স্থানে ঈদগাঁও ফরিদ আহমদ ডিগ্রি কলেজের সাথে লাগোয়া প্রায় ১০ একর জমির উপর নির্মাণ করা হচ্ছে এই দৃষ্টিনন্দন স্টেডিয়ামটি। জেলা পরিষদের প্রশাসক হিসেবে আওয়ামীলীগের প্রবীণ নেতা সাবেক সাংসদ মোস্তাক আহমদ চৌধুরী দায়িত্ব গ্রহণের পর উক্ত স্থানে জেলা পরিষদের বেদখলীয় জমি উদ্ধার করে সেখানে স্টেডিয়াম নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। তারই ধারাবাহিকতায় ৩৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে সীমানা প্রাচীরের কাজ শেষ করা হয়েছে। সম্প্রতি জেলা পরিষদ থেকে আরো ২৪ লক্ষ টাকা খরচ ক‌রে দর্শক গ্যলারি করা হ‌য়ে‌ছে। নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে কানেটিং সড়ক, মান সম্মত গ্যালারী, সুইমিংপুল, জিমনেসিয়াম, স্থানীয় স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসাসমুহের বাৎসরিক কুচকাওয়াজের জন্য নির্ধারিত স্থান ও ভাষ্কর্যসহ সব ধরনের আধুনিক সুবিধাদি থাকবে বলে জানিয়েছেন জেলা পরিষদের উপ-সহকারী প্রকেীশলী মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন। স্টেডিয়াম নির্মাণের প্রকল্পের কাজ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করার জন্য ক্রীড়া মন্ত্রনালয়ে ২০১২ সালে ১৪ কোটি টাকা প্রাক্কলিত ব্যয় ধরে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্টেডিয়াম নির্মাণ কমিটির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার বদিউল আলম। আগামী অর্থ বছরের মধ্যে স্টেডিয়াম নির্মাণের কাজ শেষ হলে এটি হবে দক্ষিণ চট্টগ্রামের অন্যতম আকর্ষণীয় একটি ক্রীড়া স্টেডিয়াম। জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমদ চৌধুরী বলেন-দীর্ঘদিন ধরে ঈদগাঁওতে একটি আন্তর্জাতিক মানের স্টেডিয়াম নির্মানের স্বপ্নের ধারাবাহিকতায় জেলা পরিষদ থেকে কয়েক কোটি বরাদ্দ প্রদানের মাধ্যমে স্টেডিয়ামের কাজ এগিয়ে চলছে। তারই ধারবাহিকতায় গত ২০১২-১৩ অর্থবছরে স্টেডিয়াম নির্মাণের জন্য পরিষদের পক্ষ থেকে ১০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ প্রদানের মধ্য দিয়ে উন্নয়ন কাজের সূচনা হয়। এরপর ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ২০ লাখ এবং সর্বশেষ চলতি অর্থবছরে পরিষদের পক্ষ থেকে ৩০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ প্রদান করা হয়।