নিজস্ব প্রতিবেদক:
কক্সবাজার শহরে কলাতলীতে মো. এখলাস মিয়া (২৩) নামে এক ছাত্রলীগ নেতাকে পিটিয়ে তার মোটরসাইকেল ছিনতাই করে নিয়ে গেছে একটি চক্র। শনিবার বিকাল ৫টার দিকে কলাতলী লংবীচ এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। এসময় ছিনতাইকারীদের হামলায় মো. এখলাস মিয়া গুরুতর আহত হয়েছে। তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত এখলাস পৌর ১২ নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি এবং আগামী কমিটির পদ প্রত্যাশী এবং কলাতলী আদর্শগ্রামের মৃত নূরুল আলমের পুত্র।
আহত ছাত্রলীগ নেতা এখলাস মিয়া জানান, কলাতলী মোড়স্থ হোটেল ‘বেস্টওয়েস্টার্ন’ থেকে চকরিয়ার আওয়ামী লীগ নেতা ওয়ালিদ মিল্টনকে নিয়ে নিজের সুজুকি (লাইসেন্স নং: কক্সবাজার ল-১১৩৯৬৩) এখলাস হোটেল লংবীচ এলাকা যায়। সেখানে পৌঁছার আগে ৫টি মোটর সাইকেল নিয়ে লাইটহাউস এলাকার মো. হাসান ভুইয়ার পুত্র সাদমানের নেতৃত্ব তার ভাই কামাল ও ঝরঝরি পাড়ার বার্মাইয়া আবদুল্লাহসহ প্রায় ১২/১৫ লোক এখলাসকে অনুসরণ করে। পরে মিল্টনকে পৌঁছে দিয়ে আসার পথে ছিনতাইকারীরা এখলাসের গতিরোধ করে। গতিরোধ করে প্রথমে তার মোটরসাইকেলটি ছিনিয়ে নেয়। এতে বাধা দিতে গেলে তাকে ছুরিকাঘাত করে। তবে ছুরিটি কেড়ে নিয়ে দূরে ফেলে দিতে সক্ষম হয় এখলাস । পরে পালিয়ে যেতে চাইলে পিছন থেকে ইট মেরে তাকে ফেলে দেয়। এরপর ছিনতাইকারীরা উপযুর্পরি এখলাসকে ইট দিয়ে মুখমন্ডল, বুকসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত করা হয়। এতে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়লে ছিনতকারীরা তার মোটরসাইকেলটি নিয়ে  পালিয়ে যায়। পরে লোকজন এখলাসকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক জানিয়েছেন, মুখ ও বুকের ভেতরে মারাত্মক জখম হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।
জেলা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক আনসারুল করিম বলেন, এদিকে সাম্প্রতিক সময়ে কক্সবাজার শহরে মোটরসাইকেল ছিনতাই আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে গেছে। কয়েকদিন আগে ছিনতাই চক্রের তিন সদস্যকে পুলিশ আটক করলেও দমানো যাচ্ছে না ছিনতাকারীদের। তারা বেপরোয়া হয়ে অস্ত্রের মুখে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটাচ্ছে। ছিনতাইয়ের ঘটনায় মোটরসাইকেল মালিকরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। তাই তারা চিহ্নিত মোটরসাইকেল ছিনতাইকারীদের গ্রেফতারের দাবি জানান।