বিশেষ প্রতিবেদক:
মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয়ে জেলা কমান্ডার মো. শাহজাহানকে হত্যার চেষ্টা করেছে অস্ত্রধারী এক যুবক। হামলাকারীকে ধারালো বল্লমসহ আটক করে কক্সবাজার সদর থানায় সোপর্দ করেছেন উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধাসহ এলাকাবাসী।
জানা গছে, কক্সবাজার জেলা শহরের বিজয় সরণীতে অবস্থিত জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স এর মধ্যে গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ৮টায় ধারালো একটি বল্লমসহ এক যুবক অতর্কিতে ঢুকে পড়ে। যুবকটি বল্লম হাতে অতি দ্রুত কমপ্লেক্সের নিচ তলায় সম্মেলন কক্ষে প্রবেশ করে সেখানে পূর্ব থেকে অবস্থান করা জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোহাম্মদ শাহাজাহানকে সরাসরি বল্লম দিয়ে আঘাত করার চেষ্টা করে। যুবকটি এক পর্যায়ে কমান্ডার শাহাজাহানের সাথে আলাপরত অপর দুইজন মুক্তিযোদ্ধাকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করে কক্ষ থেকে বের হয়ে যেতে বলে। ওই যুবক বোমার বিস্ফোরণ ঘটানোর ও হুমকি দেয়। এই সব ঘটনার এক পর্যায়ে মোহাম্মদ শাহাজাহান চিৎকার দিলে যুবকটি বল্লমসহ দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। কমপ্লেক্সের আশ-পাশে অবস্থানরত লোকজন ও কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা সাহসের সাথে যুবকটিকে কাবু করে ধরে ফেলে। জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমা-ার ঘটনাটি তাৎক্ষনিকভাবে কক্সবাজার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আসলাম হোসেনকে অবহিত করেন। এরপর ঘটনাস্থল মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে একদল পুলিশ গিয়ে হামলাকারী যুবককে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে যুবকটি তার নাম কালু মিয়া (২৪) বলে জানান। তার বাবার নাম মৃত ফকির আহমদ। তার বাড়ি চট্টগ্রাম জেলার পটিয়া উপজেলার শোভনদন্ডী ইউনিয়নের লাউয়ারখিল গ্রামে বলে তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন।
কালু মিয়ার ভাষ্য হচ্ছে, কক্সবাজার শহরের মাঝিরঘাটের একজন ট্রলার মালিক, একজন মাঝি ও একজন ব্যবসায়ী তাকে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয়ে পাঠিয়েছে লোকজনকে মেরে ফেলার জন্য।
কক্সবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন, যুবকটিকে আটক করা হয়েছে। ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করে ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটন করার জন্য পুলিশ চেষ্টা চালাচ্ছে।
এ ব্যাপারে কক্সবাজার সদর থানার এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন,তাকে জিজ্ঞাসা করার স্বার্থে আপাতত সব গোপন রাখা হচ্ছে।পরে বিস্তারিত জানানো হবে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।