আমান উল্লাহ আমান, টেকনাফ:

টেকনাফে বেপরোয়া গতির ডাম্পার-চারপোকা গাড়ীর সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে চালকসহ আহত হয়েছে ২ জন। এরা হচ্ছে চারপোকা গাড়ীর চালক ও শাহপরীরদ্বীপ ডেইল পাড়ার হাবিবুর রহমানের পুত্র জামাল হোছন (৩০) ও মোচনী ক্যাম্পের ১০ নং শেডের আবুল আলমের শিশুপুত্র আনছ (১০)। আহতদের উদ্ধার করে টেকনাফ হাসপাতালে ভর্তি করালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে চালক জামালকে কক্সবাজারে রেফার করা হয়েছে। তার ডান পা ভেঙ্গে গেছে। অপর আহত শিশু আনছকে চিকিসা দেওয়া হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ১৩ মে শনিবার বিকাল ৩ টার দিকে দমদমিয়া ওমরখাল ব্রীজ নামক স্থানে হ্নীলামুখী চারপোকা ও টেকনাফমুখী দ্রুত গতির ডাম্পার গাড়ী সড়কে বেপরোয়া ভাবে সাইড দিতে গিয়ে মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে। এতে চারপোকা গাড়ীর সামনে শো ভেঙ্গে গিয়ে চালকের পায়ে আঘাত হানে এবং পিছনে থানা শিশু যাত্রী সিটকে পড়ে গিয়ে মাথায় আঘাত পায়। এছাড়া অন্যান্য যাত্রীরাও সামান্য আহত হয়েছে। পরে এ ঘটনায় চালক জামাল হোছনকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে দ্রুত টেকনাফ হাসপাতালে প্রেরণ করে। দূর্ঘটনার পর ডাম্পার গাড়ীটি দ্রুত দূর্ঘটনার স্থান থেকে সটকে যায় বলেও জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা। গাড়ীটি টেকনাফ পৌরসভার নাইট্যংপাড়ার মোঃ হোছনের বলে জানা গেছে।

এদিকে একাধিক সুত্রে জানা গেছে, উখিয়া-টেকনাফে কয়েকটি ডাম্পার চালক বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। অনেক ডাম্পার গাড়ীর চালক কিশোর। তাদের বেপরোয়া গতির ফলে পথচারী, অটোরিক্সা, সিএনজি, মাহিন্দ্র ও মোটরসাইকেল চালকরা অসহায়। প্রতিনিয়ত ডাম্পারের ধাক্কা ও চাপায় অনেকে প্রাণ হারিয়েছে এবং অনেকে পঙ্গুত্ব জীবন যাপন করছে।

তাছাড়া ওই ডাম্পার গাড়ী নিয়ে ইট, বালি, ইটের খোয়া, মাটিসহ নানা মালামাল প্রধান সড়ক হয়ে বাজার এলাকা দিয়ে বহন করে চলেছে। তাদের বালি ও মাটি বহনকালে ত্রিপল ব্যবহার না করায় বালি উড়ে পথচারী ও অপর গাড়ীর যাত্রীদের চোখে মুখে পড়ে। ফলে অনেকে সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।

ডাম্পার গাড়ীর চালকরা বারবার দূর্ঘটনা করে কেন পার পেয়ে যাচ্ছে এবং বেপরোয়া গতিতে গাড়ী চালালেও তাদের কেন আইনের আওতায় আনা হচ্ছে না এমন প্রশ্ন সচেতন মহলের।

উল্লেখ্য, এসব ডাম্পার গাড়ী বেপরোয়া গতিতে ২৯ এপ্রিল টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের লেদা উত্তর স্টেশনে টেকনাফ-কক্সবাজার প্রধান সড়কে মিয়ানমার নাগরিক মৃত কবির আহমদের পুত্র বদিউল আলম (৬০) এবং মুহিববুল্লাহ’র শিশু কন্যা শাবনুর (৬) বাসায় ফেরার পথে প্রধান সড়কের পাশে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। এসব ডাম্পার গাড়ী প্রতিনিয়িত টেকনাফের আনাচে কানাচে চলছে। তাদের সঠিক কাগজ পত্রও নেই। সচেতন মহল এসব গাড়ীর চালকদের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করতে আইন শৃংখলা বাহিনীর প্রতি জোর দাবী জানান।