হাফেজ মুহাম্মদ কাশেম, টেকনাফ:
তাহফিজুল কুরআন সংস্থার তত্বাবধানে অনুষ্টিত হেফজ সমাপ্তকারী ছাত্রদের কেন্দ্রীয় পরিক্ষায় টেকনাফের হ্নীলা জামিয়া দারুসসুন্নাহ ৩০ বছরের রেকর্ড অতিক্রম করে অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছে বলে জানা গেছে। বাংলাদেশ তাহফিজুল কুরআন সংস্থার প্রধান কার্যালয় চট্রগ্রামের পটিয়া আল-জামিয়া আল-ইসলামিয়ায় অতি সম্প্রতি অনুষ্টিত হয়েছিল এ পরিক্ষা। এতে সমগ্র বাংলাদেশ থেকে ৮ শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছিল।
বাংলাদেশ তাহফিজুল কুরআন সংস্থার পরিক্ষা নিয়ন্ত্রক স্বাক্ষরিত ফলাফল পত্রে দেখা যায় তাহফিজুল কুরআন সংস্থার কেন্দ্রীয় পরিক্ষায় টেকনাফের হ্নীলা জামিয়া দারুসসুন্নাহ’র হেফজ বিভাগের হেফজ সমাপ্তকারী ১১ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছিল। এরা হচ্ছেন সোনা আলীর পুত্র হাফেজ মোঃ আমিন, মোঃ জলিলের পুত্র হাফেজ আনোয়ার শাহ, মাওঃ শাহেদ উল্লাহ’র পুত্র হাফেজ আবদুর রহমান, নুরুল ইসলামের পুত্র হাফেজ আনোয়ারুল ইসলাম, মুহাম্মদ রিদুয়ানের পুত্র হাফেজ মুহাম্মদ জুবাইর, ছৈয়দ আহমদের পুত্র হাফেজ মুহাম্মদ জাহেদ, নুরুল ইসলামের পুত্র হাফেজ আশেকুল ইসলাম, মৃত মঈন উদ্দিনের পুত্র হাফেজ ওমর ফারুক, নুরুল হোছাইনের পুত্র হাফেজ জাহাঙ্গীর আলম, আবদুল আমিনের পুত্র হাফেজ মুহাম্মদ নুর, রশিদ আহমদের পুত্র হাফেজ মিজানুর রহমান।
হ্নীলা জামিয়া দারুসসুন্নাহ’র ভারপ্রাপ্ত মুহতমিম (পরিচালক) আলহাজ্ব মাওঃ মুফতী আলী আহমদ জানান এবারের কেন্দ্রীয় পরিক্ষায় হেফজ বিভাগের হেফজ সমাপ্তকারী ১১ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। আলহামদু লিল্লাহ, সকলেই উচ্চ মানের মার্ক পেয়ে পাস এবং ২ জন সম্মিলিত মেধা তালিকায় স্থান পেয়েছে। যা বিগত ৩০ বছরের রেকর্ড অতিক্রম করেছে। পুরস্কারের জন্য বাছাইকৃত দেশ সেরা ৭ জনের মধ্যে ২ জনই হ্নীলা জামিয়া দারুসসুন্নাহ’র হেফজ বিভাগের শিক্ষার্থী। কৃতি শিক্ষার্থী ২ জন হলেন হ্নীলা পশ্চিম সিকদারপাড়া রাবেয়া বেগম ও মাওঃ শাহেদ উল্লাহ’র পুত্র হাফেজ আবদুর রহমান। তাঁর রেজিস্ট্রেশন নং-১৩৯, মোট ৩০০ নম্বরের মধ্যে প্রাপ্ত নম্বর ২৮৪। দেশ সেরা ৭ জনের মধ্যে সম্মিলিত মেধা তালিকায় হাফেজ আবদুর রহমান ৩য় স্থান লাভ করেছে। আরেক জন পুর্ব পানখালী খালেদা বেগম ও নুরুল হোছাইনের পুত্র হাফেজ জাহাঙ্গীর আলম। তাঁর রেজিস্ট্রেশন নং-১৪৫, মোট ৩০০ নম্বরের মধ্যে প্রাপ্ত নম্বর ২৮০। দেশ সেরা ৭ জনের মধ্যে সম্মিলিত মেধা তালিকায় হাফেজ জাহাঙ্গীর আলম ৬ষ্ট স্থান লাভ করেছে। তিনি এ জন্য মহান আল্লাহু তা’য়ালার শুকরিয়া, জামিয়ার সকল শিক্ষক বিশেষতঃ হেফজ বিভাগের শিক্ষকগণের পরিশ্রম এবং পরিচালনা কমিটির সম্মানীত সদস্যবৃন্দের আন্তরিকতা ও দুয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে আগামীতে জামিয়ার শিক্ষার্থীরা আরও বেশী বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখতে এবং শিক্ষা-চরিত্রের উন্নয়নে সর্বমহলের আন্তরিক দু’য়া ও সহযোগিতা কামনা করেছেন।
উল্লেখ্য, হাফেজ আবদুর রহমান জামিয়ার হেফজ বিভাগের শিক্ষক হাফেজ শাহজাহান এবং হাফেজ জাহাঙ্গীর আলম জামিয়ার হেফজ বিভাগের শিক্ষক হাফেজ আবদুর রহিমের তত্বাবধানে শিক্ষার্থী ছিলেন বলে জানা গেছে।
এদিকে স্থানীয় সুত্রে জানা যায় ভারপ্রাপ্ত মুহতমিমের দায়িত্ব পরিবর্তন করার পর শুভাকাংখী, মজলিশে শুরার সম্মানিত সদস্যবৃন্দ, এলাকাবাসী, সকল শিক্ষকগণের আন্তরিক প্রচেষ্টায় জামিয়ার শিক্ষা-দীক্ষা ও আর্থিকভাবে (এলমী, আমলী, মালী) ক্রমান্বয়ে উন্নতির দিকে ধাবিত হচ্ছে।