হাফেজ মুহাম্মদ কাশেম, টেকনাফ :

এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফলে টেকনাফ উপজেলায় পাশের হার আগের বারের তুলনায় কমেছে এবং জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে। এবারের ফলাফলে টেকনাফের ১৪টি মাধ্যমিক স্কুলে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৫৬ জন, তন্মধ্যে পাশ করেছে ৯১৬ জন এবং ফেল করেছে ১৪০ জন শিক্ষার্থী, পাশের হার ৮৬.৭৪ । ২০১৬ সালে উপজেলায় এসএসসিতে পাশের হার ছিল ৯২। সে হিসেবে এবারে টেকনাফে পাশের হার গত বছরের তুলনায় কমেছে।

এবারের ফলাফলে টেকনাফে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৮ শিক্ষার্থী। গত বছর এ সংখ্যা ছিলো ১১। গত বারের তুলনায় ১৭ শিক্ষার্থীর জিপিএ-৫ বেড়েছে। জিপিএ-৫ পাওয়া প্রতিষ্ঠান গুলোর মধ্যে রয়েছে টেকনাফ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় ১১ জন, সাবরাং উচ্চ বিদ্যালয় ৬ জন, হ্নীলা উচ্চ বিদ্যালয় ৩ জন, টেকনাফ এজাহার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ২ জন, সেন্টমার্টিন বিএন ইসলামিক উচ্চ বিদ্যালয় ২ জন, শাহপরীরদ্বীপ উচ্চ বিদ্যালয় ১ জন, নয়াবাজার উচ্চ বিদ্যালয় ১ জন, নয়াপাড়া হাজী নবী হোছাইন উচ্চ বিদ্যালয় ১ জন ও শামলাপুর উচ্চ বিদ্যালয় ১ জন। উপজেলার ৫টি মাধ্যমিক স্কুল থেকে কেউ জিপিএ-৫ পায়নি। জিপিএ-৫ না পেলেও শতভাগ পাশের হারে উপজেলার শীর্ষে রয়েছে হোয়াইক্যং আলী আছিয়া উচ্চ বিদ্যালয় ও মারিশবনিয়া এসইএসডিপি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়। হোয়াইক্যং আলী আছিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে ৭৮ শিক্ষার্থী অংশ গ্রহণ করে সবাই পাশ করেছেন। মারিশবনিয়া এসইএসডিপি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ে ১২ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ১২ জনই পাশ করেছেন। উপজেলায় এ দুই মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশের হার শতভাগ।

এদিকে ১০টি মাদ্রাসার অংশগ্রহণকারী মোট পরিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৩৫৭ জন। তম্মধ্যে ২৬০ জন পাস এবং ৯৭ জন ফেল করেছে। পাসের হার ৭৩। পুরো উপজেলায় শামলাপুর দারুল ইসলাম দাখিল মাদ্রাসার মাত্র ১ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। কোন মাদ্রাসায় শতভাগ পাস নেই।

প্রতিষ্টানওয়ারী ফলাফল হচ্ছে রঙ্গীখালী দারুল উলুম ফাজিল মাদ্রাসার ৬০ জন পরিক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৪২ জন, ফেল ১৮ জন, পাশের হার ৭০। হ্নীলা শাহ মজিদিয়া আলিম মাদ্রাসার ৫৫ জন পরিক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৪১ জন, ফেল ১৪ জন, পাশের হার ৭৫। হ্নীলা মৌলভীবাজার জমিরিয়া দারুল কুরআন আলিম মাদ্রাসার ৪০ জন পরিক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ২৭ জন, ফেল ১৩ জন, পাশের হার ৬৬। গোদারবিল বায়তুশশরফ মুহাম্মদীয়া রিয়াজুল জন্নাহ দাখিল মাদ্রাসার ৩৬ জন পরিক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ২৬ জন, ফেল ১০ জন, পাশের হার ৭২। উত্তর শীলখালী তাফহীমুল কুরআন দাখিল মাদ্রাসার ৪৬ জন পরিক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৩১ জন, ফেল ১৫ জন, পাশের হার ৬৭। মহেশখালীয়াপাড়া বাহারুল উলুম দাখিল মাদ্রাসার ২৩ জন পরিক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ১৪ জন, ফেল ৯ জন, পাশের হার ৬১। রঙ্গীখালী খদিজাতুল কুবরা মহিলা মাদ্রাসার ২৫ জন পরিক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ১৭ জন, ফেল ৮ জন, পাশের হার ৬৮। দারুত তওহিদ বালিকা দাখিল মাদ্রাসার ১৫ জন পরিক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ১২ জন, ফেল ৩ জন, পাশের হার ৮০। কাটাখালী রওজতুন্নবী (সঃ) দাখিল মাদ্রাসার ৩৫ জন পরিক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ২৭ জন, ফেল ৮ জন, পাশের হার ৭৭। শামলাপুর দারুল ইসলাম দাখিল মাদ্রাসার ২৪ জন পরিক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ২৩ জন, ১ জন জিপিএ-৫, ফেল ১ জন, পাশের হার ৯৬।

সেন্টমার্টিন বিএন ইসলামিক উচ্চ বিদ্যালয়ে ৪০ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে ৩৮ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ জন, ফেল ২ জন, পাশের হার ৯৫। শাহপরীরদ্বীপ হাজী বশির আহমদ উচ্চ বিদ্যালয়ে ৫৪ শিক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে ৫১ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ জন, ফেল ১ জন, পাশের হার ৯৪.৪৪। নোয়াপাড়া আলহাজ্ব নবী হোছাইন উচ্চ বিদ্যালয়ে ৪৭ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে ৪৪ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ জন, ফেল ৩ জন, পাশের হার ৯৩.৬২। সাবরাং উচ্চ বিদ্যালয় ৭৭ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে ৭১ জন, জিপিএ ৫ পেয়েছে ৬ জন, ফেল ৬ জন, পাশের হার ৯৩.৪২, হ্নীলা উচ্চ বিদ্যালয়ে ১৭৩ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে ১৫৬ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩ জন, পাশের হার ৯০.১৭। টেকনাফ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৫৬ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে ১৩৫ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১১ জন, ফেল ২১ জন, পাশের হার ৮৭.১০। নয়াবাজার উচ্চ বিদ্যালয়ে ১২৯ পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে ১১২ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ জন, ফেল ১৭ জন, পাশের হার ৮৬.৮২। লম্বরী মলকা বানু উচ্চ বিদ্যালয়ে ৫১ জনে পাশ করেছে ৪৪ জন, ফেল ৭ জন, পাশের হার ৮৬.২৭। টেকনাফ এজাহার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ৪৭ শিক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে ৩৮ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ জন, ফেল ৯ জন, পাশের হার ৮০.৮৫। হ্নীলা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ৫১ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে ৩৭ জন, ফেল ১৪ জন, পাশের হার ৭২.৫৫। কানজরপাড়া বিদ্যালয়ে ৪৫ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে ৩২ জন, ফেল ১৩ জন, পাশের হার ৭১.১১। শামলাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে ৯৮ জনে পাশ করেছে ৬৮ জন, ফেল করেছে ৩০ জন, পাশের হার ৬৯.৩৯। টেকনাফ উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার মোহাম্মদ নুরুল আবছার উক্ত তথ্য নিশ্চিত করেছেন।