বিবিসি :
উপরের ছবির দুজনের চেহারা ভালো করে দেখুন। বলুন তো এদের কোন জন তারকা ফুটবলার মেসি? যদি বিভ্রান্ত হয়ে থাকেন আপনাকে দোষ দেয়া যাবে না।
উপরের ছবিতে বাঁয়ে যাকে দেখছেন তার নাম রেজা পারাসটেশ। একজন ইরানী ছাত্র। আর ডানের জন আসল লিওনেল মেসি।
ইরানের যে শহরে থাকেন রোজ পারাসটেশ, সেখানে মেসির সঙ্গে তার চেহারার এই মিল নিয়ে এতটাই বিভ্রান্তি আর উন্মাদনার সৃষ্টি হয়েছিল যে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আটকে রাখে। শুধু তাই নয়, তার গাড়িটিও পুলিশ জব্দ করে। কারণ এই ‘নকল’ মেসির সঙ্গে ছবি তোলার জন্য পাগল হয়ে উঠেছিল শহরের মানুষ। আর তার গাড়িকে ঘিরে রাস্তায় তৈরি হয়েছিল যানজট।
রেজা পারাসটেশের বয়স ২৫। থাকেন ইরানের হামাদেন শহরে। কয়েক মাস আগে থেকে শহরে তাকে নিয়ে এই উত্তেজনার শুরু।
বার্সেলোনা ক্লাবের দশ নাম্বার জার্সি গায়ে রেজার একটি ছবি তোলেন তাঁর বাবা। ছবিতে তাকে দেখাচ্ছিল একদম মেসির মতো।
রেজা এরপর মেসির মতো দাড়ি রাখতে শুরু করেন, চুলও কাটেন মেসির মতো করে। এবার যেন তাকে আর মেসি ছাড়া আর কিছু বলে ভাবা যাচ্ছিল না।
বার্তা সংস্থা এএফপি’কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে রেজা বলেছেন এরপর তাঁকে প্রতিদিন কি বিড়ম্বনার মুখে পড়তে হচ্ছিল।
“সবাই আমাকে একজন ইরানী মেসি বলে গণ্য করতে লাগলো। মেসি যা যা করে, আমাকে তার সবকিছু অনুকরণ করতে হবে, সেটাই তারা চাইছিল। আমি যখন কোন জায়গায় যাচ্ছি, সবাই রীতিমত হতভম্ব হয়ে যাচ্ছে।”
“তবে আমি খুশি যে আমাকে দেখে লোকজন এতটা আনন্দ পাচ্ছে। তাদের আনন্দ দেখে আমিও অনেক উৎসাহ পাচ্ছি।”
রেজা পারাসটেশের সাক্ষাৎকার নেয়ার জন্য এখন সাংবাদিকদের লাইন পড়ে গেছে। তাকে মডেল করার জন্য চুক্তিবদ্ধ করেছে অনেক প্রতিষ্ঠান।
রেজা পারাসটেশ এখন ফুটবলের কিছু কায়দা-কৌশলও রপ্ত করার চেষ্টা করছেন। যাতে সত্যিকারের মেসির মতোই ফুটবলের জাদু দেখিয়ে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিতে পারেন!
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।