মো. নুরুল করিম আরমান, লামা:
বান্দরবানের লামা উপজেলায় পাহাড়িকা প্লান্টেশনের বিরুদ্ধে এক প্রান্তিক কৃষকের ৫০০টি বনজ গাছ কেটে জায়গা জবর দখল চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুধু তাই নয়, গাছ কাটার কারণ জানতে চাইলে কৃষককে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানিসহ প্রাণ নাশের হুমকি দেয় প্লান্টেশনের লোকজন। উপজেলার সরই ইউনিয়নের দুর্গম পাহাড়ি পূবচাম্বী গরুরলোড়া পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক আলী আহমদ লিডার প্রতিকার চেয়ে রবিবার বিকালে প্লান্টেশনের ম্যানেজারসহ তিন জনের বিরুদ্ধে লামা থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। উল্লেখিত অভিযুক্তরা হলেন, পাহাড়িকা প্লান্টেশনের সহকারি ম্যানেজার মোহাম্মদ আলী (২৮), সরই ইউনিয়নের গরুরলোডা পাড়ার বাসিন্দা আমির হোসেনের ছেলে কামাল উদ্দিন (৫৫), গজালিয়া ইউনিয়নের বাইশপাড়ি পাড়ার বাসিন্দা মৃত চাঅং মার্মার ছেলে মংম্রাচিং মার্মা (৫০)। এদিকে, অভিযুক্ত পাহাড়িকা প্লান্টেশনের ম্যানেজার মোহাম্মদ আলী কৃষকের সৃজিত বাগানের গাছ কাটার অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবী করেন।
অভিযোগে জানা যায়, ১৮-২০ বছর আগে উপজেলার ৩০৭নং চাম্বি মৌজার আর-২৮৮০, ২৮৮১, ২৭৩২ নং হোল্ডিং মূলে ১২ একর জমি ক্রয় করে তথায বহু শ্রম ও অর্থ ব্যয়ে বিভিন্ন প্রজাতির বাগান সৃজন করেন কৃষক আলী আহমদ লিডার। সম্প্রতি ওই জমির ওপর পার্শ্ববর্তী পাহাড়িকা প্লান্টেশন লিমিটেড কর্তৃপক্ষের লোলুপ দৃষ্টি পড়ে। তারা এ জমি দখলে নিতে বিভিন্ন সময় অপচেষ্টা চালায়। এতে পেরে না ওঠে এক পর্যায়ে গত ২ মে অভিযুক্তরা সংঘবদ্ধ হয়ে বাগানের ১০-১২ বছর বয়সী প্রায় ৪০০-৫০০টি একাশিয়া হাইব্রীড গাছ কেটে নেয়। পরে জমি দখলে দেখাতে পূণরায় ওই জমির ওপর আমের চারা রোপন করে তারা।
রবিবার বিকালে লামা প্রেসক্লাবে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক আলী আহমদ লিডার সাংবাদিকদের বলেন, গত ৩ মে গাছ কাটার ঘটনার প্রতিবাদ কিংবা কারণ জানতে চাইলে; পাহাড়িকা প্লান্টেশন লিমিটেড‘র ম্যানেজারসহ অন্য অভিযুক্তরা আমাকে ও আমার পরিবারের অন্য সদস্যদেরকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানিসহ প্রাণ নাশের হুমকি দেন। লামা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, এ ঘটনায় তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।