রেজাউল করিম :
ঈদগাঁওতে কুপি বাতি নিয়ে জীবন যাপনে বাধ্য হচ্ছেন ২০ পরিবারের ২ শতাধিক লোক। আবেদনের ৬ বছরেও বিদ্যুৎ সংযোগ না পাওয়ায় সভ্যতা ও বিজ্ঞানের উৎকর্ষের এ যুগেও তারা এমন জীবন যাপন করতে বাধ্য হচ্ছেন। কক্সবাজার জেলা প্রশাসক বরাবর এক ভূক্তভোগীর দাখিলকৃত আবেদন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। আবেদনকারী হচ্ছেন ঈদগাঁও মেহেরঘোনা কলেজ গেইট এলাকার মৃত মৌলভী মাহফুজুল করিমের পুত্র মো. সলিম উল্লাহ। তিনি তার অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করেন, কলেজ গেইট এলাকায় প্রায় ২০টি পরিবারের ২ শতাধিক লোকের বসবাস। এ এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে সরকারের আদেশ রয়েছে। তিনি পল্লীবিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের নির্দেশমতে বিদ্যুৎ সংযোগ পেতে ২১/৩/১২ইং তারিখে কক্সবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সদর দপ্তর অফিসে সমীক্ষা ফি বাবদ নগদ দেড় হাজার টাকা জমা করেন। যার পে স্লিপ নং হচ্ছে ২৫২৪৯৫। উল্লেখিত তারিখে উক্ত অফিসের আমেনা আক্তার কর্তৃক স্বাক্ষরিত স্লিপটি তাকে দেয়া হয়। পরে উক্ত এলাকার আশেপাশের বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হলেও তিনিও অপরাপর লোকজন দীর্ঘ ৬ বছরেও বিদ্যুৎ সংযোগ থেকে বঞ্চিত রয়েছেন। বিদ্যুৎ সুবিধা না থাকায় এলাকার বিপুল সংখ্যক লোক সভ্যতার এ যুগেও কুপি বাতি নিয়ে জীবন যাপনে বাধ্য হচ্ছেন। সলিম উল্লাহর অভিযোগ, স্থানীয় পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ অবৈধ এলাকায় ঘুষের বিনিময়ে বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান অব্যাহত রাখলেও তিনিও তার এলাকার লোকজনকে সংযোগ আজ দেবে, কাল দেবে বলে নানা তালবাহানা ও কালক্ষেপণ করছে। এ এলাকায় পল্লী বিদ্যুৎ কেন্দ্রিক দালালের উৎপাত চরমভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। তাদের অত্যাচারে সাধারণ লোকজন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন। দালালের তালিকায় কোন কোন জন প্রতিনিধিও রয়েছে। ফায়দালোভী এসব দালালরা এলাকার লোকজনের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ জিইয়ে রেখে ব্যক্তিগত স্বার্থ চরিতার্থ করছে। তারা অনেকের কাছ থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ পাইয়ে দেয়ার নামে ২/৩ হাজার টাকা করে আদায় করছে। তিনি বৈধভাবে সরকারী নিয়মে বন্দোবস্তি গ্রহণের মাধ্যমে দীর্ঘ কয়েক যুগ যাবত উক্ত এলাকায় স্বপরিবারে বসবাস করে আসছেন। এখানকার প্রায় এক দোন পরিমাণ জমি সরকারীভাবে বন্দোবস্তি দেয়া হয়েছে। বছরের পর বছর বিদ্যুৎ না পাওয়ায় এ এলাকার সাধারণ লোকজন, মসজিদগামী মুসল্লী ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানমুখী ছাত্রছাত্রীদের পড়ালেখা, ধর্মকর্ম পালন ও প্রাত্যহিক কাজ সারতে নানা দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তিনি অভিযোগে উল্লেখ করেন, পল্লী বিদ্যুতের ঈদগাঁও বিলিং অফিসের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের কারণে প্রান্তিক জনগোষ্ঠিকে ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। তাদের চাহিদা পূরণ না করলে তারা যা ইচ্ছা তাই করার চেষ্টা করে। তবে এ ব্যাপারে স্থানীয় বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের দায়িত্বশীল কোন কর্মকর্তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।