বিশেষ প্রতিবেদক
বাঁকখালীর প্যারাবন রক্ষায় পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীদের উপর হামলা ও প্যারাবন নিধনযজ্ঞে জড়িত ভূমিগ্রাসীদের ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় এখনো কোন মামলা কিংবা অভিযোগ দায়ের করেন নি সংশ্লিষ্টরা।
প্রধানমন্ত্রী কক্সবাজার আসছেন, তাই প্রশাসন ব্যস্ত এই অজুহাতে জড়িত দখলবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়ার সুযোগে গতকালও সারাদিন তারা দ্বিগুন শ্রমিক নিয়োগ করে কস্তুরাঘাট এলাকায় দখল তৎপরতা অব্যাহত রাখে। অভিযোগ ওঠেছে, ঘটনার রাতে প্যারাবন নিধনযজ্ঞে জড়িত শহরের চিহ্নিত দখলবাজ আবদুল খালেক মোটা অংকের বিনিময়ে পরিবেশ অধিদপ্তর উপ-পরিচালক সরদার শরীফুল ইসলামকে ম্যানেজ করেছেন। ফলে মামলা না করে ভূমিগ্রাসীদের এই উপঢৌকনে তুষ্ট হয়ে সংঘটিত বিষয়টি এড়িয়ে যাচ্ছেন পরিবেশ অধিদপ্তরের এই কর্মকর্তা। তবে, উত্থাপিত সব অভিযোগ অস্বীকার করে পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজার এর উপ-পরিচালক সরদার শরীফুল ইসলাম বলেছেন ভিন্ন কথা। তিনি বলেন, জড়িত ভূমিগ্রাসীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে চেয়েছিলাম, কিন্তু ডিসি মহোদয় এ নিয়ে বাড়াবাড়ি না করার নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়া সরকারী দলের এক নেতাও বলেছেন, বিষয়টি ক্ষমা করে দিতে।
এঅবস্থায় কোনমতেই থামছেনা কক্সবাজার এর প্রধান নদী বাঁকখালীর প্যারাবন উজাড় করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ কাজ। প্রতিদিন দখলযজ্ঞ আরো সম্প্রসারিত হচ্ছে। নদীর কিনারে নির্মিত হচ্ছে নতুন নতুন বসতঘর। প্লট আকারে বিক্রি করা হচ্ছে সরকারী জমি।
প্রসঙ্গত, গত বুধবার বিকালে প্যারাবন নিধন ও মাটি কর্তনকালে ৫ শ্রমিককে হাতেনাতে আটক করা হলেও তাদের ছিনিয়ে নেয় দখলবাজচক্র। এ সময় অভিযানকারী টীমকে নাজেহাল করা হয়।
কক্সবাজারে পরিবেশ বিধ্বংসীদের সাথে পরিবেশ কর্মকর্তার আতাঁত
পড়া যাবে: [rt_reading_time] মিনিটে