সোয়েব সাঈদ, রামু
কক্সবাজার-৩ (সদর-রামু) আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব সাইমুম সরওয়ার কমল বলেছেন, চাওয়া যতটুকু ছিলো তার চেয়ে বেশী বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা কক্সবাজারবাসীকে দিয়েছেন। তিনি না চাইতে রেল লাইন দিয়েছেন, না চাইতে কক্সবাজারবাসীকে আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দর দিয়েছেন, না চাইতে স্থায়ী সেনা নিবাস দিয়েছেন, না চাইতেই তিনি গভীর সমুদ্র বন্দর, সমুদ্র গবেষনা কেন্ত্র, আর্ন্তজাতিক স্টেডিয়াম, মেরিন ড্রাইভ সড়কসসহ অনেক কিছু দিয়েছেন। তাই বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে সর্বোচ্চ সম্মান জানানো এখন কক্সবাজারবাসীর অন্যতম দায়িত্ব।
উন্নয়নের এ ধারা অব্যাহত থাকলে কক্সবাজার অচিরেই বিশ্বমানের শহরে রূপ নেবে। এজন্য প্রয়োজনী প্রধানমন্ত্রীর আরো আন্তরিক সহযোগিতা।
বুধবার ও আগেরদিন রামুর খুনিয়াপালং ইউনিয়নের গোয়ালিায়া পালং, পেঁচারদ্বীপ, দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নের কাঠির মাথাসহ বিভিন্ন এলাকায় ৯টি পথ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদানকালে সাংসদ কমল এসব কথা বলেন।
বুধবার খুনিয়াপালং ইউনিয়নের পশ্চিম গোয়ালিয়াপালংয়ে অনুষ্ঠিত কর্মী সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন, রামু উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগ সভাপতি রিয়াজ উল আলম।
ইউপি সদস্য ছৈয়দ আলম সুলতানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, রামু বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবদুল হক, খুনিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাংবাদিক আবদুল মাবুদ, ইউপি সদস্য আবদুল্লাহ বিদ্যুৎ ও মোস্তাক আহমদ প্রমূখ।
একইদিন সন্ধ্যায় দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নের কাঠির মাথায় আয়োজিত পথ সভায় সভাপতিত্ব করেন, দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি ইউনুচ ভূট্টো। এতে প্রধান বক্তা ছিলেন, রামু উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগ সভাপতি রিয়াজ উল আলম।
সভায় খুনিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাংবাদিক আবদুল মাবুদ, রামু উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ সাধারণ সম্পাদক তপন মল্লিক, যুবলীগ নেতা নবীউল হক আরকান, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা ও সাংসদ কমলের একান্ত সচিব মিজানুর রহমান, সাংসদ কমলের ব্যক্তিগত সহকারি রামু উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদ আবু বক্কর ছিদ্দিক, রামু উপজেলা বঙ্গবন্ধু সৈনিকলীগের আহবায়ক মিজানুল হক রাজা, ফতেখাঁরকুল ইউনিয়ন স্বেচ্ছসেকবলীগের সভাপতি আজিজুল হক আজিজ প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও সাংসদ কমল খুনিয়াপালং ইউনিয়নের পেঁচারদ্বীপ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠান এবং চৌফলদন্ডীতে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান এবং কক্সবাজারে প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে আয়োজিত অপর এক সভায় অংশ নেন। সাংসদ কমল রামুতে আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত একাধিক ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন পর্যায়ে প্রতিনিধি ও কর্মী সভা, আনন্দ মিছিলে অংশ নেন।
রামুতে বিগত দুইদিনে প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার আগমন উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠিত ৯টি পথ সভা ও সমাবেশে সাংসদ কমল পৌঁছলে স্ব স্ব এলাকার দলীয় নেতাকর্মীসহ হাজার হাজার নারী-পুরুষ আনন্দ উচ্ছ্বাস ও ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়ে বরণ করে নেয়।
এসব সমাবেশে প্রধানমন্ত্রীর আগমনে উৎফুল্ল জনতা আগামী ৬মের সমাবেশে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহন করে কক্সবাজারকে জনসমুদ্রে রূপান্তরের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
এসব সমাবেশে সাংসদ কমল আরো বলেন, কক্সবাজার জেলায় যে সকল উন্নয়ন কর্মকান্ড হয়েছে তার অধিকাংশই কক্সবাজার ও রামুতে হচ্ছে। বিগত ৩বছরে কক্সবাজার ও রামুর শিক্ষাক্ষেত্রে অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। যা স্বাধীনতার ৪৩ বছরে হয়নি। রামুতে স্বাধীনতার পূর্বে রামুতে উচ্চ বিদ্যালয় ছিলো ৫টি। বিগত ৪৩ বছরে এ সংখ্যা ছিলো ১২টি। অথচ বিগত ৩ বছরে রামুতে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে আরো ১১টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়। এর সুফল ভোগ করবেব রামুর ১১ ইউনিয়নের ছাত্রছাত্রীরা।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।