সংবাদদাতা: যুক্তরাজ্য:
১৯৯১ সালের ২৯ শে এপ্রিল প্রলয়ংকারী ঘূর্ণিঝড়ের স্মরণে এবং নিহত লক্ষাধিক মানুষের আত্মার মাগফেরাতের জন্য দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে কক্সবাজার এসোসিয়েশন ইউকে। শনিবার সন্ধ্যায় ইষ্ট লন্ডনের হোয়াইটচ্যাপল এলাকায় অবস্থিত কলিংউড় হল মিলনায়তনে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ গিয়াসউদ্দিনের পরিচালনায় এবং সভাপতি ফরিদুল আলমের সভাপতিত্বে এই স্মরণ সভা এবং দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। উপস্থিত ছিলেন কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বগণ। অতিথিরা তাদের বক্তব্যে বলেন, আমাদের দেশ এখনো সেকেলে তথা ব্রিটিশ সিস্টেমে পরিচালিত হচ্ছে। দেশের প্রকৃত উন্নয়ন নিশ্চিত করতে চাইলে বর্তমান চাহিদা এবং আধুনিকতার সমন্বয়ে পুরো সিস্টেমকে ঢেলে সাজানো দরকার। বক্তারা বলেন, এখনো কক্সবাজারের বিভিন্ন উপকূল এলাকা অরক্ষিত। কোন সরকারই প্রকৃত অর্থে প্রাকৃতিক দূর্যোগ মোকাবেলায় কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না। অথচ জেলা হিসেবে জাতীয় অর্থনীতিতে প্রায় ১০% যোগান দেয় কক্সবাজার। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক তার বক্তৃতায় বাংলাদেশ সরকারের কাছে একটি উপকূল মন্ত্রণালয় গঠনের জন্য জোর দাবি জানান। এতে করে উপকূল এলাকার জনগণ প্রাকৃতিক দূর্যোগ মোকাবেলায় আরো সচেতন হবে এবং নিজেদের ভাগ্য উন্নয়নে সক্ষম হবে। সভায় উপস্থিত অনেকেই ছিলেন ২৯ শে এপ্রিলের সেই প্রলয়ংকারী ঘূর্ণিঝড়ের প্রত্যক্ষ সাক্ষী। বক্তারা তাদের সেই বিভীষিকাময় স্মৃতির বর্ণনা দেন। সভায় সংগঠনের সহ সভাপতি বশির জামান বাবুর শ্বশুর, সদ্য প্রয়াত উখিয়ার সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জনাব শাহ আলমের রূহের মাগফেরাতের জন্য দোয়া করা হয়। এতে আরো বক্তব্য রাখেন এসোসিয়েশনের স্টিয়ারিং এবং এডভাইজার কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান জনাব ব্যারিষ্টার সরওয়ার কামাল, ফরিদ তৈয়ব, আব্দুল আওয়াল মামুন, সদস্য সচিব মোহাম্মদ সফিউল্লাহ, এডভাইজার আবু শউকত, স্যাড়ো কমিটি সেক্রেটারী জামাল উদ্দিন মাহমুদ, আব্দুল হালিম, হারুনুর রশীদ, উচমান গণি এবং বশির জামান বাবু। সভায় নিহত লক্ষাধিক মানুষের জন্য দোয়া করা হয়।
যুক্তরাজ্যে ৯১ ঘূর্ণিঝড়ে নিহতদের স্মরণে দোয়া মাহফিল
পড়া যাবে: [rt_reading_time] মিনিটে
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।