মো. আবছার কবির আকাশ, টেকনাফ
টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের রইক্যং এলাকায় বসতবাড়ী থেকে দখল উচ্ছেদ করতে রাতের আন্ধকারে হামলা-ভাঙচুর চালিয়ে দুর্বৃত্তরা। এতে ৩ নারীসহ অন্তত ৫ জন আহত হয়েছে। ২৯ এপ্রিল দিবাগত রাত ৩টার দিকে ঘটনাটি ঘটে। এ সময় একজনকে গণ ধর্ষণ চেষ্টা চালানো হয় বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহতদের মধ্যে ৩ জনকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তারা হচ্ছেন- হোয়াইক্যং ইউনিয়নের রইক্যং এলাকার জাফর আলমের স্ত্রী হামিদা বেগম (৪৫), মুহাম্মদ আলমের স্ত্রী নয়না খাতুন ও জাফর আলমের মেয়ে পারভীন আকতার (১৪)। আহত হামিদা বেগমের অবস্থা গুরুতর। তার মাথা থেকে শুরু করে পুরো শরীর থেথলে দিয়েছে দুর্বত্তরা।
আহত হামিদা বেগমের স্বামী জাফর আলম অভিযোগ করে বলেন, আমার পৈত্রিক সুত্রে পাওয়া জায়গাতে আমরা দীর্ঘদিন বসবাস করছি। এলাকার কিছু লোক আমাদের উচ্ছেদ করতে চেষ্টা চালাচ্ছে। চিহ্নিত লোকজন রাতের অন্ধকারে বসতঘরে ঢুকে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। এ সময় একজনকে ধর্ষণ চেষ্টা করা হয়।
তিনি জানান, রইক্যং এলাকার মৃত আবদুস সুবহানের ছেলে আবদুর রহমান, হাকিম আলী, শামসুল আলম, দিনিয়া বড়–য়ার ছেলে কমল বড়–য়া, নুর আহমদের ছেলে কুরবান আলী, তার ছেলে রফিকুল ইসলাম, জহির মিয়ার ছেলে মনসুর আলী, সুহাইয়ার ছেলে বাবু বড়–য়া, আলী আকবরের ছেলে ছুরত আলম ও জাফর আলমের ছেলে আবদুর রশিদ।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ একরামুজ্জামান জানান, তিনি সারাদিন মিটিং-এ ছিলেন। ঘটনার বিষয়ে তাকে জানানো হয়নি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেবেন।