চকরিয়া অফিস:

ডিবি পুলিশের অভিযান নিয়ে প্রশ্ন তুলে ২৭এপ্রিল বিকেলে চকরিয়ার কর্মরত সাংবাদিকদের নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে তাহমিনা বেগম নামে এক নারী। সে পেকুয়া উপজেলার টৈটং ইউনিয়নের বাজারপাড়া এলাকার নুরুল ইসলাম প্রকাশ আয়াত উল্লাহ’র স্ত্রী। তাহমিনা বেগম অভিযোগ করে দাবী করেন, তার স্বামী নুরুল ইসলাম প্রকাশ আয়াত উল্লাহকে নিয়ে তার পিতৃালয় (স্ত্রীর) বাশখালী উপজেলার পূর্বশীলকোট মাতব্বরপাড়ায় বসবাস করেন। তার স্বামীকে গত ১৯এপ্রিল সকাল সাড়ে ৮টার দিকে চকরিয়া উপজেলার বরইতলী ইউনিয়নের পহরচাঁদা মছনিয়াকাটাস্থ স্বামীর বোনের বাড়ির জায়গা-জমির বিরোধ মিমাংসার জন্য ডেকে আনেন। কিন্তু পেকুয়া উপজেলার শীলখালী ইউনিয়নের পেঠান মাতব্বরপাড়া গ্রামের নাছির উদ্দিন, মৃত আবদুল বারির পুত্র জামাল উদ্দিন ও মৃত লাল মোহাম্মদের পুত্র আবদু ছমদ গং সুকৌশলে কক্সবাজারের ডিবি পুলিশের সাথে গোপন আতাতের মাধ্যমে পহরচাদা মছনিয়াকাটা মো: শফির মুদির দোকানের সামনে থেকে ধরে নিয়ে অন্যায়ভাবে ডিবি পুলিশের হাতে তুলে দেয়। তাকে পুলিশে ধরিয়ে দেওয়ার সময় কোন ধরণের অস্ত্র না থাকলেও পরদিন ২০এপ্রিল রাত ৮টায় ঘটনা দেখিয়ে চকরিয়ার বরইতলী নতুন রাস্তার মাথা এলাকা থেকে অস্ত্র সহ গ্রেফতার করেছে মর্মে তার স্বামীর বিরুদ্ধে মিথ্যা নাটক সাজিয়েছে। যা ওই এলাকার মানুষ প্রকাশ্যে স্বাক্ষী দেবে। এমনকি তাকে শীলখালীর ওই চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের ইন্ধনে তার স্বামীকে অস্ত্র সহ আটক দেখিয়ে মামলা দিয়ে জেল হাজতেও প্রেরণ করেছে। যা অত্যন্ত দু:খজনক। হতভাগা তাহমিনা বেগম উর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের সরে জমিনে তদন্ত সাপেক্ষে তার নির্দোষ স্বামীকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার এবং প্রকৃত অপরাধীদের গ্রেফতারের দাবী করেন। সংবাদ সম্মেলনে তার সাথে উপস্থিত ছিলেন পুত্র জাহেদুল ইসলাম।