মোহাম্মদ হোসেন,হাটহাজারী :
চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার উত্তর মাদার্শা ও ফতেপুর ইউনিয়নের উপর কাঠ দিয়ে মধুরঘোনা এলাকায় একমাত্র তেজারিপুল(তর্জ্জারপুলটি) এখনও নতুন ভাবে নির্মিত হয়নি। ঝুকিপুর্ণ এ সেতু দিয়ে প্রতিদিন কোমলমতি স্কুল ও মাদ্রাসার ছাত্রছাত্রী ছাড়াও দুই ইউনিয়নের বাসিন্দারা ব্যবহার করে আসছে। বর্ষার মৌসুমে সেতু দিয়ে পারাপার অনেকটা ঝুকিপুর্ণ।
দীর্ঘ ২২ বছর অতিবাহিত ঐ দুই ইউনিয়নের জনগন নতুন ভাবে এখানে একটি সেতু নির্মিত হয়নি। এতে করে ফতেপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের ছোট ছোট স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা পাশের ইউনিয়ন দক্ষিন মেখল উচ্চ বিদ্যালয় ও মার্দাশা মাহলুমা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তেজারিপুলটি দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করে আসছিল।
সরেজমিনে গিয়ে দুই ইউনিয়নের জনগনের সাথে কথা বলে জানা যায়, উপজেলার সদর থেকে ফতেপুর আলাওল সড়ক দিয়ে উত্তর মাদার্শা ইউনিয়নের জনগন ডি.সি সড়ক দিয়ে সহজে চলাচল করতে পারে, কিন্ত বাধা হয়ে দাঁড়ায় দুই ইউনিয়নের মাঝখানে মার্দাশা ৪ নং ওয়ার্ডের মধুরঘোনা এলাকার তেজারিপুল(তর্জারপুল)টি । জানাযায়, সেই পাকিস্থান আমল থেকে বাঁশের তর্জা দিয়েঐ এলাকায় একটি পুল তৈরি করে দুই পাড়ের মানুষ সহজে চলাচল করার জন্য। এর পর থেকে এই পুলের নাম হয়ে পড়ে তেজারিপুল(তর্জারপুল)। জানা যায়, মধুরঘোনা এলাকার দুই পাড়ের জনগন ব্রিজটি হলে সহজেই স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা গামী শিক্ষার্থী ও চাকুরীজীবি, কৃষকদের উৎপাদিত ফসল সহজেই হাটহাজারী সদরের বাজার সহ বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করতে পারবে। এবং সহজেই যোগাযোগ করতে পারবে কিন্তু বর্তমান তেজারিপুলটি একেবারেই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে যা দিয়ে মানুষ পায়ে হেঁটে চলতেও মুসকিল। উত্তর মার্দাশা ইউনিয়নে ৪নং ওয়ার্ডের এলাকার বাসিন্দাদের যদি কেউ মারাত্মক রোগ অথবা কোন মহিলার ডেলিভারী রোগী যদি উপজেলা সদরে অথবা শহরের কোন হাসপাতালে নিতে হয় তাহলে ঐ ঝুঁকিপূর্ণ তেজারিপুল পার করাতে করাতে রোগী মারা যেতে পারে।
এ ব্যাপারে কথা হলে মধুরঘোনা এলাকার মার্দাশা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের সদ্য এসএসসি পরিক্ষা দেওয়া মোঃ শাখাওয়াত উল্লাহ(১৬) ক্ষোভ প্রকাশ করে সংবাদকর্মীদের বলেন, বড়দের কাছে শুনে আসছি সেই এরশাদ সরকারের তৎকালীন মন্ত্রী ও বর্তমানের সরকারের পানি সম্পদ মন্ত্রী ব্যরিষ্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বার বার তর্জারপুলকে সেতু নির্মাণ করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে দুই ইউনিয়নের জনগনকে দিয়ে আসলেও এ পর্যন্ত সেতুটির মুখ দেখেনি। এ ব্যাপারে দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন এলাকার জনসাধারণ।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।