সিবিএন রিপোর্ট :
কক্সবাজারে চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী জীবন আরা পরিকল্পিত মিথ্যা অভিযোগ এনে কক্সবাজার সদর থানার সুশৃঙ্খল ও সফল একটি থানার দক্ষ অফিসারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। পুলিশের জালে নিজের ইয়াবা সিন্ডিকেট ধরা পড়ায় মাদক ব্যাবসায়ী জীবন আরা কৌশলে পুলিশের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ এনে পুলিশকে ঘায়েল করার চেষ্টা করছে। মাদক ব্যাবসায়ী জীবন আরার পরিকল্পিত ভাবে পুলিশকে প্রশ্নবিদ্ধ করার পেছনে ইন্দনে রয়েছে কিছু প্রভাবশালী চক্র। ভালো মানুষের মুখোশ পড়ে ঐ চক্রটি মাদক ব্যবসায়ী জীবন আরার পক্ষে কলকাঠি নাড়ছে। তথ্য গোপন করে সংবাদ প্রকাশ করে প্রশ্নবিদ্ধ করা হয় কক্সবাজার সদর থানার পুলিশকে। সামাজিক ভাবে হেয় করা হয় সদর থানার ওসি আসলাম হোসেন, বখতিয়ার চৌধুরী, রহিম উদ্দিন ও মানস বড়ুয়ার মতো চৌকস পুলিশ অফিসারকে।
কক্সবাজারে চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী হলো জীবন আরা টেনাফের ইয়াবা জোন নয়াপাড়ার মৃত আবদুল আজিজের কন্যা। জীবন আরার পুরো জীবনটাই বিতর্কে ভরা। বিতর্কিত ও নারীলোভি ব্যক্তিদের হাত করে জীবন আরা কক্সবাজারে অবাধে মাদক ব্যবসা করে যাচ্ছে। একাধিক স্বামী পরিত্যক্তা জীবন আরা রয়েছে একাধিক বয়ফ্রেন্ড। কক্সবাজারে প্রভাবশালী কয়েকজন ব্যক্তির সাথে জীবন আরার অবাধ মেলামেশা। এই প্রভাবশালীদের হাত করেই জীবন আরা বেশি বেপরোয়া হয়ে উঠে। জীবন আরার বেপরোয়া আচরণে তার স্বামীরা তাকে তালাক দিয়েছে। সর্বশেষ বাংলাবাজারের আবুল কাশেমের ছেলে ইয়াবা ব্যাবসায়ী আলী আহম্মদকে বিয়ে করে সে। ইয়াবা ব্যবসায়ী আলীকে বিয়ে আরো বেপরোয়া হয়ে উঠে জীবন আরা। জীবন আরা ও তার স্বামী আলী আহম্মদ ছাড়াও জীবন আরার বোন হাসিনা, হাসিনার স্বামী শাহা আলম, আরেক বোনের জামাই জিয়াউল হক ও দেবর জাহাঙ্গীর মিলে বিশাল ইয়াবা সিন্ডিকেট গড়ে তোলে। এই সিন্ডিকেটের মদদে কক্সবাজারে সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধি ও আইনজীবি রয়েছে।
জীবন আরার ইয়াবা সিন্ডিকেট ধরতে ১১ মার্চ অভিযান চালায় কক্সবাজার সদর থানা পুলিশ। অভিযানে জীবন আরা ও তার স্বামী ১০ হাজার পিস ইয়াবা সহ গ্রেপ্তার হয়। এর কয়েকদিন পর কুমিল্লাহ ও চকরিয়ায় ধরাপড়ে ইয়াবা সিন্ডিকেটের জীবন আরার বোন ও ২ বোনের জামাইও। পুলিশের ঘন ঘন অভিযানে পালিয়ে যায় জীবন আরার দেবর জাহাঙ্গীর।
গ্রেপ্তারের ২ সপ্তাহ পর দুগ্ধ পোষ্য সন্তান থাকায় জীবন আরাকে জামিন দেয় আদালত। জামিন পাওয়ার আগেই কারাগারে থাকা অবস্থায় বিচক্ষন জীবন আরা রিমান্ডে পুলিশ হেফাজতে বৈদ্যুতিক শক দেয়ার মিথ্যা অভিযোগ আনে। আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে ২৪ ঘন্টার মধ্যে সদর হাসপাতালে জীবন আরার শারীরিক পরিক্ষার প্রতিবেদন চায়। ডাক্তারের প্রতিবেদনে জীবন আরার অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হয়।
জামিনে কারাগার থেকে বের হয়ে সদর থানার পুলিশকে ঘায়েল করতে তার সহযোগীদের নিয়ে মাঠে নামে। কয়েকজন সাংবাদিককে ম্যানেজ করে জীবন আরা কক্সবাজারে সদর থানার ওসি আসলাম হোসেন, সদর থানার সেই সময়ের ওসি তদন্ত বখতিয়ার চৌধুরী, সেকেন্ড অফিসার রহিম উদ্দিন, জীবন আরার ইয়াবা মামলার আইও এস আই মানষ বড়ুয়া ও এস আই ওমর ফারুককে ঘায়েল করতে মাঠে নামে।
পরিকল্পিত ভাবে জীবন আরা আটকের সময়ের অভিযোগের তথ্য গোপন করে আবার নতুন করে তাকে রিমান্ডে নির্যাতনের ভিত্তিহীন অভিযোগ এনে আদালতে মামলা করে। আদালতে মামলার শুনানীর কয়েক দিন আগে জীবন আরা তার সহযোগীদের দিয়ে সদর থানার পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনে। জীবন আরা রিমান্ডে নির্যাতনের অভিযোগ আগেই আদালতে মিথ্যা প্রমানিত হলেও ঐ তথ্য গোপন করে সংবাদ প্রকাশিতত হয়। এই সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রেও জীবন আরা সিন্ডিকেট একটি নাটকের আশ্রয় নেয়। পুলিশ রিমান্ডে একজন নারীর স্পর্শ কাতর জায়গায় নির্যাতনের অভিযোগের খবরটি সারা দেশে তোলপাড় হলেও। কৌশলে আড়ালেই থেকে যায় জেলার শীর্ষ মাদক ব্যাবসায়ী জীবন আরা। গোপন করা হয় জীবন আরার অভিযোগ আদালতে মিথ্যা প্রমানিত হওয়ার বিষয়টিও।