মোহাম্মদ মিজানুর রহমান আজাদ, ঈদগাঁও:
কক্সবাজার সদর উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের পূর্ব নাপিতখালী হাজী পাড়া সড়কে দূর্ধর্ষ ডাকাতি সংঘটিত হয়েছে। এসময় ডাকাতদলের প্রহারে ৭ জন গুরুতর আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে ৬ জনকে ঈদগাঁও ন্যাশনাল হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও মূমুর্ষ অবস্থায় একজনকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় কক্সবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরেজমিন পরিদর্শন করেন।
২২ এপ্রিল দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে বর্ণিত সড়কের কালভার্ট নির্মাণাধীন অস্থায়ী শিবিরে এ ঘটনা ঘটে। চলতি সনের ৩১ জানুয়ারী ৩০ লক্ষ ৯০ হাজার চুক্তিতে পুরো এলাকার মানুষের দুঃখ-দূর্দশা দুর করতে সরকার এ কালভার্ট নির্মাণের জন্য বাজেট দেয়। মেসার্স এম.এস কন্সট্রাক্শন ঠিকাদার কোম্পানী এ কাজের দায়িত্ব পায়। যথারীতি কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। ২২ এপ্রিল দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে হঠাৎ ৭/৮ জন যুবক দা-কিরিচ ও অস্ত্র নিয়ে কালভার্ট নির্মাণের শিবিরে কিছু বুঝে উঠার পূর্বেই মারপিট শুরু করে।
ডাকাতদলের উপর্যুপরী কিরিচের আঘাতে গুরুতর আহত হয়ে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে সাব সুপার ভাইজার রামু উপজেলার চেইন্দা আসমা ঘোনা এলাকার মৃত ছিদ্দিক আহমদের পুত্র নুুরুল ইসলাম। এছাড়া আহতদের মধ্যে রয়েছে শ্রমিক ইউনুছ বাঙ্গালী, মামুন, আনোয়ার, সাইফুলসহ আরো অনেকে। এসময় ডাকাতরা শ্রমিকদের ব্যবহৃত ১১টি মোবাইল ও অর্ধলক্ষাধিক টাকা লুট করে নিয়ে যায়।
পরিদর্শনে আসা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে ছিলেন পিআইও সাকিব, ইসলামপুর চেয়ারম্যান আবুল কালাম। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিষয়টি তৎক্ষণাৎ সদর মডেল থানার ওসিকে অবহিত করলে ঈদগাঁও পুলিশের এসআই জাহাঙ্গীর ঘটনাস্থলে ছুটে যান এবং ঘটনায় জড়িতদের বের করবে বলে আশ^াস দেন। উল্লেখ্য, ঐ এলাকাটি ছিল ডাকাতদলের আস্তানা। তদন্ত করলেই অপরাধীদের বের করা সম্ভব হবে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।