মোহাম্মদ হোসেন,হাটহাজারী :

দেশের অন্যতম বৃহৎ প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীতে শনিবার রাতে মা মাছ ডিম ছেড়েছে । অপেক্ষার পর অবশেষে মধ্য রাতে হালদা নদীতে মা-মাছ ডিম পাওয়া গেছে। সারারাত নদীর সব জায়গায় ডিম সংগ্রহকারীরা নৌকা নিয়ে অপেক্ষা করছিল। গড়দুযারা ইউনিযনের নোয়াহাট থেকে শুরু করে মাদার্শা পর্যন্ত এলাকায় নদী থেকে ডিম সংগ্রহ করেছে বলে জানা গেছে। তবে এবার গড়দুয়ারার অংকুরাঘোনাসহ কযেকটি স্থানে ডিম ছাড়েনি মা-মাছ। রাতে ওই এলাকার লোকজন দ্রুত নদীর নোয়াহাট ও মাদার্শা এলাকায় গিয়ে ডিম সংগ্রহ করেছে। অনেকেই এই খবর জানত না। রাত প্রায় ২টার দিকে ডিম ছেড়েছে বলে জানান,ডিম সংগ্রহকারীরা।হাটহাজারী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা জানান, নদীর বিভিন্ন স্থানে ডিম আহরণকারীরা পর্যাপ্ত পরিমানের ডিম আহরণ করেছে।

প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষক ও হালদা নদীর উপর গবেষক মনজুরুল কিবরিয়া সাথে মোঠো ফোনো আলাপকালে তিনি বলেন, মা-মাছ ডিম ছেড়েছে এবার সব চেয়ে বেশি ডিম ছেড়েছে বলে তিনি উল্লেখ্য করে বলেন গতবার প্রায় সাড়ে তিনশত নৌকা নদীতে ছিল তবে তখন ডিম পাওয়া যায়নি। এবার ১০৫টি নৌকা প্রতি নৌকায় এক বাল্টি করে ডিম সংগ্রহ করেছে যার পরিমান প্রতি নৌকায় ১৬কেজি। মা মাছ সাধারণ এপ্রিল-মে-জুন মাসের মধ্যে ডিম ছাড়ে। ডিম ছাড়ার বিষয়টি অমাবস্যা ও পূর্ণিমার উপর নির্ভর করে থাকে। যেহেতু এখন পূর্ণিমার জোয়ার শুরু হয়েছে সেহেতু সার্বিক দিক বিবেচনা করে রেণু পোনা ছাড়ার জন্য এটি উপযুক্ত সময়।

কামাল উদ্দিন জানান,কস্ট হলেও এবার ডিম পেয়েছি বেশী। ২টার দিকে জোয়ার সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছানোর পর মা মাছ ডিম ছাড়া শুরু করে। প্রতি নৌকায় যতোষ্ট পরিমানে ডিম পাওয়া যায় বলে তিনি জানান।