মো:রফিক উদ্দিন লিটন, ঈদগাঁও
কক্সবাজারের ঐতিহ্যবাহী হাঁসের দীঘি রক্ষার দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভে নেমেছে স্থানীয়রা। বৃষ্টিবাদল উপেক্ষা করে এলাকার অসংখ্য জনগণ এই কর্মসুচিতে স্বতঃস্ফূর্ত অংশ গ্রহণ করে।
শুক্রবার (২১এপ্রিল) বাদে জুমা ঈদগাঁও ইসলামাবাদ হাসেঁর দীঘি সংলগ্ন চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে এ মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন ইদগাহ পৌরসভা বাস্তবায়ন আন্দোলনের সভাপতি কাফি আনোয়ার, মিডল কক্স ইউনাডেটের নেতা হাসান তারেকসহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার লোকজন।
উপস্থিত ছিলেন- ইদগাঁহ রিপোর্টাস সোসাইটি সভাপতি এম,আবু হেনা সাগর, সদস্য রফিক উদ্দিন লিটন, মসজিদের খতিব হাফেজ ওসমান গণি, মসজিদের মুতওল্লি এজাহার মিয়া, শাহীনুল ইসলাম, মাহমুদুল হক সহ মুসল্লি, শিক্ষার্থি ও এলাকার বিপুল সংখ্যক লোকজন।
কর্মসুচিতে একাত্নাতা পোষন করেন ইদগাঁহ রিপোর্টাস সোসাইটি, মিডল কক্স,ইদগাঁহ প্রেসক্লাব ও সাংস্কৃতিক একাডেমী।
শতাব্দীর ঐতিহ্য বুকে নিয়ে হাঁসের দীঘি বৃহত্তর ঈদগাঁও’র লোকসংস্কৃতিকে ধারণ করে মাতৃস্নেহের মতো এতদাঞ্চলের পরিবেশ-প্রতিবেশ সংরক্ষণ এবং দেশীয় মাছের প্রজনন ও অভয়ারণ্য হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার পাশাপাশি স্থানীয় জনসাধারণের প্রাত্যহিক জীবনের তাগিদ মিটিয়ে আসছে কিন্তু বর্তমানে পৈতিক সম্পদ দাবী করে ডা:সাইফুদ্দীন ফরাজী
হাঁসের দীঘির উত্তর অংশ থেকে পুরো দীঘির দুই-তৃতীয়াংশ ইতোমধ্যেই ভরাট করে ফেলেছে। ভরাটকৃত জমির উপর কলাগাছ’সহ বিভিন্ন রকমের ফলজ বৃক্ষ রোপন করে আবাদী জমিতে পরিণত করেছে । দীঘির বাকী অংশটিও ভরাটের জন্য পানির সেচ করে শুকিয়ে ফেলা হয়েছে। দীঘিটি আপাত দৃষ্টিতে মনে হবে ধু ধু প্রান্তর। ভরাট ও সামীনা প্রাচীর নির্মাণের জন্য দীঘির পূর্বপাশের পাড় কেটে গাড়ী চলাচলের রাস্তা তৈরী করে মজুদ করা হয়েছে বালি, ইট ও কংক্রীট।
কালের সাক্ষ্যবাহী প্রাচীনতম ঐতিহাসিক এই দীঘি একদিকে যেমন মানুষের নৈমিত্তিক জীবনযাত্রার চাহিদা পূরণ করছে তেমনি বাস্তুসংস্থান রক্ষা, দেশীয় মাছের ভান্ডার ও প্রজননক্ষেত্র, প্রাণীবৈচিত্র্যতা সংরক্ষণ,ভূ-গর্ভস্থ পানির স্তর রক্ষা,বৃষ্টির পানির সংরক্ষণাধার এবং পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখছে। এ হাঁসের দীঘি ভরাটের ফলে ইতোমধ্যেই পরিবেশের উপর মারাত্মক প্রভাব পডতে শুরু করেছে। দীঘিকে ঘিরে থাকা পাখপাখালীর প্রাত্যাহিক কোলাহল হারিয়ে গেছে, হারিয়ে গেছে প্রাণী বৈচিত্রও। এ দীঘিটি বৃহত্তর ঈদগাঁও’র ঐতিহ্যবাহী জলাধার এবং বিলুপ্তপ্রায় দেশীয় মৎস্যের প্রজননক্ষেত্র। হাঁসের দীঘি বিলুপ্ত হলে বিলুপ্ত হবে একটি ইতিহাস একটি কিংবদন্তী, বিলুপ্ত হবে বাঙ্গালী সংস্কৃতির একটি অনুষঙ্গও। প্রশাসনিকভাবে দ্রুত ওই দীঘি ভরাট বন্ধ করা না গেলে বিদ্যমান অন্য সকল দীঘি কিংবা পুকুর কিংবা জলাধারও অস্তিত্ব সংকটে পড়ার আশংকা রয়েছে।
হাঁসেরদীঘি রক্ষার দাবীতে সমাবেশ ও মানববন্ধন
পড়া যাবে: [rt_reading_time] মিনিটে
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।