বিশেষ প্রতিবেদক :

সদরের ঈদগাঁও মৌজায় ভূঁয়া খতিয়ান সৃষ্টি করে জালিয়াতির ও চলাচলের পথ দখলের অভিযোগ উঠেছে। অনিয়মের মাধ্যমে সৃষ্ট খতিয়ান মূলে জমি দখলের চেষ্টা করায় এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে উত্তেজনা। ঈদগাঁও ইউনিয়ন ভূমি অফিসের পিয়ন ছৈয়দ নূর এতে জড়িত বলে জানা গেছে। এ নিয়ে দূর্নীতি দমন কমিশন, সরকারী বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থায় ভূক্তভোগীরা লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
প্রাপ্ত তথ্যে প্রকাশ, বৃহত্তর ঈদগাঁও’র জালালাবাদ ইউনিয়নের খামার পাড়া নিবাসী ছৈয়দনুর দীর্ঘদিন ধরে ঈদগাঁও ইউনিয়ন ভূমি অফিসে পিয়ন পদে কর্মরত আছে।
২০১০ সালে জালালাবাদ ইউনিয়নের খামার পাড়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ পুকুর সংলগ্ন স্হানে ছৈয়দ নুর ইতিপূর্বে তার ২ স্ত্রীর নামে মাত্র এক কড়া জমি ক্রয় করে। কিন্তু দলিলমূলে মাত্র ১ কড়া জমির মালিক হলেও ভূল তথ্য ও জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে প্রায় ১০ কড়া জমি নামজারী করে নেয় ও খতিয়ান সৃষ্টি করে। ঈদগাঁও মৌজার বিএস খতিয়ান নং- ৬৭৩৯ মূলে দেখা যায়, ছৈয়দ নুরের দুই স্ত্রীর নামে ৩ শতক (৯ কড়া) জমি নামজারী করা হয়েছে (নামজারী ও জমাভাগ মামলা নং- ৪৩৮০(২)/২০১০)।
সদর সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসের তৎকালীন কানুনগো বাচ্চু মনি চাকমা স্বাক্ষরিত উক্ত খতিয়ান দূর্নীতির মাধ্যমে সৃষ্টি করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এতদিন গোপন রাখলেও সম্প্রতি উক্ত খতিয়ানমূলে বিভিন্ন পরিবারের চলাচলের পথ দখল করে ঘেরাবেড়া দেওয়া ও চাঁদা দাবীর অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে ভূক্তভোগীরা সরকারী বিভিন্ন দপ্তর ও  মানবাধিকার সংস্থায় অভিযোগ দায়ের করলেও পিয়ন ছৈয়দ নুর এতে কোন প্রকার কর্ণপাত করেনি বলে জানান এলাকাবাসী।
সম্প্রতি সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, জালালাবাদ খামার পাড়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পুকুর পাড় সংলগ্ন পূর্বদিকে প্রধান সড়কের পাশে টিন দিয়ে ঘিরে বিশাল জায়গা দখলে নিয়েছে উক্ত ছৈয়দনুর। এতে কয়েকটি পরিবারের যাতায়াতের পথ অবরুদ্ধ হয়ে গিয়েছে। স্হানীয়রা জানান, এর মধ্যে একটি পরিবারের চলাচলের পথ খুলে দিতে দেড় লক্ষ টাকা নেয় ছৈয়দ নূর। টাকা না দেয়ায় আরো কয়েকটি পরিবারের লোকজনের চলাচলের পথ অবরূদ্ধ করে রাখা হয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এলাকাবাসী আরো জানান, একই এলাকার বিভিন্ন খাস জমি বেনামে বন্দোবস্তি করে নিয়েছে সে। বিভিন্ন জনের বসতভিটার অংশ বিশেষ, চলাচলের পথ ও অন্যান্য জমি রয়েছে এ বন্দোবস্তির মধ্যে। বন্দোবস্তি মূলে উক্ত জমি দখলের চেষ্টা করায় ইতিপূর্বে দফায় দফায় ঝগড়া বিবাদের সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গেছে। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ছৈয়দ নুর বলেন, এসব ব্যাপারে পত্রিকায় লিখলেও কিছু হবে না।
ভূমি প্রশাসনের উপরওয়ালাদের নাম ভাঙ্গিয়ে এসব রকমারি অপকর্ম করে আসলেও বহাল তবিয়তে রয়ে গেছে উক্ত ছৈয়দনুর। যথাযথ তদন্ত করে তাকে ঈদগাঁও থেকে বদলি ও আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।