শিশুটিকে বাঁচাতে এগিয়ে আসুন
বিশেষ প্রতিবেদক:
উখিয়ায় ১৩ বছর বয়সী পঞ্চম শ্রেনীর শিক্ষার্থী এক শিশুকে ধর্ষণের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলা থেকে পালক পিতা আজিজুল ইসলামকে রক্ষায় মরিয়া হয়ে উঠেছে একটি চক্র। জামায়াত-শিবিরের নেতৃতে ২০/২৫ জন লোক নিয়ে চক্রটি একটি মানববন্ধন কর্মসূচীও পালন করেছে। এমনকি ধর্ষক আজিজকে রক্ষায় চক্রটি হাসপাতাল থেকে নিজেদের পক্ষে চিকিৎসা সনদ নিতে এবং প্রশাসনের উপর চাপ সৃষ্টি করে গ্রেফতার এড়াতে মোটা অংকের টাকা নিয়ে মাঠে নেমেছে। চক্রটি ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় কিছু পাতি নেতা ও দালালকে এসব কাজে ব্যবহার করছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। অন্যদিকে ধর্ষক আজিজকে এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি উখিয়া থানা পুলিশ। ধর্ষনের ঘটনা থেকে বাঁচতে তারা কক্সবাজার সদর হাসপাতালের ওয়ান ষ্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) চিকিৎসাধীন নিযার্তনের শিকার শিশুটিকে নিয়ে টানাহেচঁড়াও শুরু করেছে। এ অবস্থায় নিযার্তনের শিকার ১৩ বছর বয়সী মা-বাবাহীন শিশুটি অসহায় ও ভীত হয়ে পড়েছে। চরম নিরাপত্তাহীন হয়ে পড়েছে শিশুটি। নির্যাতনের শিকার মা-বাবাহীন শিশুটির পাশে দাঁড়ানোর জন্য সংশ্লিষ্টদের আহবান জানিয়েছেন নারী ও শিশু সুরক্ষা নেটওয়ার্কের সভাপতি আবু মোর্শেদ চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘ওসিসিতে চিকিৎসাধীন নির্যাতনের শিকার শিশুটির পাশে রাষ্ট্রকে দাঁড়াতে হবে। একই সাথে মানবিকতা সম্পন্ন মানুষকেও তার পাশে থাকা উচিত। আমরাও শিশুটির পাশে রয়েছি, যাতে শিশুটি ন্যায় বিচার, চিকিৎসা, পুর্নবাসনসহ যাবতীয় সহায়তা পায়।’
ওসিসি’র প্রোগ্রাম অফিসার মো. শাহজালাল বলেন, ‘শিশুটি গত সোমবার সকাল থেকে ওসিসিতে চিকিৎসাধীন রয়েছে। একই সাথে গত মঙ্গলবার ওসিসি’র মাধ্যমে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। শিশুটি সূস্থ না হওয়া পর্যন্ত ওসিসিতে চিকিৎসা দেয়া হবে।’
উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আবুল খায়ের বলেন, ‘খবর পেয়ে আসামী একটু সরে রয়েছে। তবে আমাদের নাগালের মধ্যেই রয়েছে। শীগ্রই তাকে গ্রেফতার করা হবে।’
এদিকে স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, ধর্ষণকারীকে রক্ষায় কিছু ব্যক্তি মোটা অঙ্কের টাকায় মাঠে নেমেছে। তারা বুধবার মোহাম্মদ শফির বিল এলাকায় একটি মানববন্ধনও করেছে। ধর্ষনকারীর পক্ষে যারা মানববন্ধনে অংশ নিয়ে বক্তব্য রেখেছে তাদের মধ্যে মৌলানা সাত্তার, ছৈয়দ আলম, গিয়াস উদ্দিন, মনজুর আলম ও হেলাল উদ্দিন জামায়াতের রাজনীতির সাথে জড়িত। আর জয়নাল উদ্দিন ও সোহেল বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত। মানববন্ধন পরিচালনাকারী কামরুল ইসলাম শারেক একজন শিবির ক্যাডার। এর বাইরে ১০/১৫ জন সাধারণ মানুষ ও শিশুকে মানববন্ধনে ব্যবহার করা হয়েছে।