Tweet

বিশেষ প্রতিবেদক:
কুতুবজোম আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালনা কমিটির সভাপতি, বটতলাবাজার বণিক সমিতির সভাপতি, বিশিষ্ট প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা মো. সুলতানকে মিথ্যা মামলায় কারামুক্ত হয়েছেন। গ্রেপ্তারের ৬ দিনের মাথায় গতকাল মঙ্গলবার তিনি কক্সবাজার জেলা কারাগার থেকে মুক্তি তিনি জামিনে পেয়েছেন। জনদরদী নেতা মো. সুলতানের মুক্তিতে এলাকার সাধারণ মানুষ আনন্দে ফেটে পড়েছে। পুরো কুতুবজোমের উল্লাস চলছে। বিভিন্ন এলাকায় মিষ্টি বিতরণ করা হয়েছে।
জানা যায়, সোমবার জামিন পেলেও মঙ্গলবার দুপুরে মুক্তি পেয়ে কারাগার থেকে বের হন মো. সুলতান। কারাগারে তাকে গ্রহণ করতে আসেন স্থানীয় বেশ কয়েক নেতা। সেখান থেকে মহেশখালীর উদ্দেশ্যে কক্সবাজার ত্যাগ করেন। সেখানে মহেশখালী জেটিতে তাকে বরণ করতে আসেন কুতুবজোমের শত শত মানুষ। তারা ফুল দিয়ে মো. সুলতানকে বরণ করে নেন। পরে গাড়ি নিয়ে শোডাউন সহকারে কুতুবজোমের বটতলায় যান। সেখানে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। সংবর্ধানায় এলাকার বিপুল লোকজন সমবেত হন।
সূত্র মতে, ১২ এপ্রিল রাতে মো. সুলতানকে বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ১৩ এপ্রিল তাঁকে কারাগারে প্রেরণ করা হয় প্রবীণ এই আওয়ামী লীগ নেতা, শিক্ষানুরাগী ও সমাজ সেবকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ও গ্রেপ্তার করায় এলাকায় নিন্দার ঝড় বয়ে যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মো. সুলতান বর্তমানে কুতুবজোম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি। গত কাউন্সিলের তিনি অল্প ভোটের ব্যবধানে সভাপতির পদ থেকে হেরেছেন। গত বিএনপি জোট সরকারের আমলে কুতুবজোমের আওয়ামী লীগ রাজনীতি শক্ত হাতে ধরে রেখেছিলেন সুলতান। এই কারণে তিনি মামলা-হামলারও শিকার হয়েছিলেন। কিন্তু আজকে দলের সুসময়ে এই প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতাকে মিথ্যা মামলায় জেলে যেতে হয়েছে।
জানা গেছে, গত ১১ এপ্রিল কুতুবজোমের বটতলার পশ্বিমে মো. সুলতানের ঘেরে হামলা করে স্থানীয় আনসার বাহিনীর সন্ত্রাসীরা। এসময় সন্ত্রাসীদের হামলায় সুলতানের ঘেরের তিনজন শ্রমিক আহত হয়। এসময় দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনাকে নিয়ে উল্টো মো. সুলতান ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে একটি সাজানো মিথ্যা মামলা দায়ের করে।
উল্লেখ্য, উপরোল্লেখিত দায়িত্ব ছাড়াও মো. সুলতান চরপাড়া শাহী জামে মসজিদের সভাপতি, খায়েরিয়া ফোরকানিয়া মাদ্রাসার সভাপতি ও বটতলা জামে মসজিদের দায়িত্ব পালন করছেন।

 

 

 Tweet