পেকুয়া সংবাদদাতা:
পেকুয়ায় প্রবাসির জায়গা থেকে উত্তোলিত হচ্ছে বালি। এনিয়ে উপজেলার টইটং ইউনিয়নের পুর্ব ধনিয়াকাটা লাইনের শিরা এলাকায় পাহাড়ে দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। একদল অবৈধ অস্ত্রধারী ও ফেরারী আসামীরা পাহাড়ি প্রবাহমান ছড়ায় বালি উত্তোলন মহোৎসবে মেতেছেন। তারা সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে সোনাইছড়ি ছড়া থেকে বালি উত্তোলনের জন্য পাম্প মেশিন বসিয়েছেন। এদিকে সংরক্ষিত বনাঞ্চলে সামাজিক বাগানের উপকারভোগির জায়গা জবর দখল করে বালি খেকো ওই চক্র মজুদ করেছেন বালির স্তুপ। পাহাড় কেটে তৈরি করেছেন মেঠোপথ। ওই পথ দিয়ে দিব্যি পাচার হচ্ছে লক্ষ ঘনফুট বালি। সোনাইছড়ি ছড়া বালি উত্তোলনের অনুমতি নেই সংশ্লিষ্ট বিভাগের। এরপরেও পাহাড়ি এলাকায় আস্তানা তৈরি করে বালি উত্তোলন উৎসবে মেতেছেন একদল জেল ফেরত সহ ফেরারী আসামীরা। বালি উত্তোলন ও ওমান প্রবাসির জায়গা দখল নিয়ে টইটং ইউনিয়নের দূর্গম পাহাড়ি লাইনের শিরা এলাকায় দু’পক্ষের মধ্যে ঘটেছে ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়া। আধিপাত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের উত্তেজনায় পাহাড়ি এলাকায় তৈরি হয়েছে ভীতি।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, উপজেলার টইটং ইউনিয়নের রমিজ পাড়া এলাকার জেল ফেরত হত্যা মামলার আসামী লাতুর নেতৃত্বে একদল পাহাড়ি সন্ত্রাসীরা অবৈধ বালি উত্তোলন করছে। চট্টগ্রাম দক্ষিন বনবিভাগের বারবাকিয়া বনবিট কর্মকর্তা আওতাধীন টইটং ইউনিয়নের পুর্ব ধনিয়া কাটা এলাকায় লাতুর নেতৃত্বে একদল ফেরারী আসামীরা সোনাই ছড়ির ছড়া থেকে উত্তোলন করছেন বালি। লাইনের শিরা এলাকায় ২০০৬ সালের সৃজিত বাগানের উপকারভোগি বারবাকিয়া ইউনিয়নের কাদিমাকাটা এলাকার আক্তার আহমদের ছেলে নাজিম উদ্দিন নাজুর জায়গা জবর দখল করেছেন তারা। ছড়া থেকে উত্তোলিত বালির স্তুপ করতে প্রবাসি নাজুর প্রায় ৪০ শতক জায়গা তারা দখল করেছেন। গতকাল এনিয়ে জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ বিরোধপুর্ণ এলাকা পরিদর্শন করেছেন। স্থানীয়রা জায়গার বিষয়টি তাদের অবহিত করেছেন।
পাহাড়ি এলাকার লোকজন জানান, লাতুর নেতৃত্বে গিয়াস উদ্দিন, সাগর, আহমদ ছফা, মোজাম্মেল, নুরুল আবছার সহ ১০/১২ জনের চক্র সোনাইছড়ি ছড়া থেকে বালি উত্তোলন অব্যহত রেখেছেন। তারা বালির স্তুপের জন্য ব্যবহার করছেন প্রবাসি নাজুর জায়গা। এব্যাপারে বারবাকিয়া ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলম বলেন, লাতু জেল থেকে বের হয়ে পাহাড়ে আস্তানা তৈরি করেছেন। একজন ওমান প্রবাসির জায়গা দখল করে ছড়ায় মেশিন বসিয়েছে সে। বালি উত্তোলন বন্ধ না হলে সংঘাত হবে নিশ্চিত শান্তি প্রিয় মানুষের সাথে। বিষয়টি প্রশাসনকে অবহিত করার জন্য প্রবাসির পরিবারকে পরামর্শ দিয়েছি।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।